শুধু একজনের জন্য মেডিক্যালের এই অচলাবস্থা

সন্দীপ ভট্টাচার্য

কে দলের ভাল করছেন আর কে দলের নাম ডোবাচ্ছেন, সেটা বুঝতে এত সময় লেগে যায়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে ঘিরে যা যা ঘটছে, তা কখনই কাম্য ছিল না। সহজ একটা ব্যাপার। শুধু একজনের জন্য মারাত্মক চেহারা নিয়েছে। সেই চিকিৎসক নেতাটিকে এতকিছুর পরেও চিনতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী!‌

কোনও সরকারই চায় না, রাজ্যবাসীর মনে সরকার সম্পর্কে খারাপ ধারনা তৈরি হোক। বিশেষ করে, ছাত্রসমাজ সরকার বিরোধী হয়ে উঠুক, এটা কেউ চায়?‌ আমার ধারনা, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও চান না। কিন্তু তাঁর আশেপাশে এত বেশি উল্টোপাল্টা লোকের ভিড়, সঠিক পরামর্শ দেওয়ার লোকের বড়ই অভাব। কী জানি, তিনি হয়ত সঠিক পরামর্শ শুনতেও চান না। তালে তাল দিয়ে যাওয়া ‘‌হ্যাঁ’‌ ‘‌হ্যাঁ’ বলা সং চান।

cmc

চিকিৎসাকেন্দ্রে বিশেষ একজন যে কী মাতব্বরি করে চলেছেন, তা কি মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছচ্ছে না?‌ যে কোনও মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত, এমন একজনের কাছে খোঁজ নিন, তাহলেই জানতে পারবেন। হাসপাতালের সুপারদের পদে পদে অপদস্থ করছেন। তাঁর একের পর এক অন্যায় আবদার সামলাতে হাসপাতাল প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। খুঁজতে চাইলে অন্তত একশো খাড়া বড় বড় দুর্নীতির হদিশ পাওয়া যাবে। চিকিৎসকরা এই একজনের অত্যাচারে রীতিমতো বিরক্ত। কিন্তু কী আর করা যাবে, এত কিছু জানার পরেও তাঁর মাথায় আশীর্বাদের হাত রয়েছে।

মেডিক্যালে এত কাণ্ড শুধুমাত্র ওই লোকটির জন্যই। তিনি সব জায়গায় পেটোয়া লোক তৈরি করতে চান। সব জায়গায় নিজের মৌরসিপাট্টা কায়েম করতে চান। এখানেও তেমনটাই চেয়েছিলেন। তাই শুরু থেকেই ছাত্রদের নায্য দাবিগুলোকে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। যে সিদ্ধান্তগুলো মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষই নিতে পারতেন, সেই সিদ্ধান্তগুলোও তাঁরা নিতে পারেননি শুধুমাত্র এই চিকিৎসক নেতার চাপে। বিস্তারিত লিখছি না। একটু খোঁজ নিলেই পুরো ব্যাপারটা জানা যাবে।

একটা কথা ভেবেই অবাক লাগে। তাঁর এইসব নানাবিধ অপকর্মের কথা চিকিৎসা জগতের সবাই জানেন। মুখ্যমন্ত্রী জেনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না?‌

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *