সমুদ্রে বেলুনের লক্ষ্মণরেখা!‌ আজগুবি এক ভাবনা

সুমিত চক্রবর্তী

‌‌দীঘার সমুদ্রে কীভাবে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়?‌ একটা উপায় বের করেছে প্রশাসন। জলের মাঝে নাকি বেলুন ছাড়া হবে। সেই বেলুনের গন্ডি পেরিয়ে গেলে নাকি তাকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

mandarmoni
ব্যাপারটা শুনতে ভাল। কিন্তু বাস্তবে কীভাবে সম্ভব, মাথায় ঢুকছে না। বেলুনের অবস্থান কি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বদল হবে?‌ নাকি একই জায়গায় থাকবে?‌ সমুদ্র সম্পর্কে যাঁদের ধারনা আছে, তাঁরা জানেন, সমুদ্র একেক সময় একেক জায়গায় থাকে। ভাটার সময় একরকম, জোয়ারের সময় আরেকরকম। জোয়ার যখন মাঝামাঝি, তখন একরকম। যখন পূর্ণ জোয়ার, তখন আরেকরকম। তাহলে কোনটা হবে সীমারেখা?‌ একই জায়গায় কখনো গোড়ালি জল, কখনও দু মানুষ জল। দেখা যাবে, যেখানে বেলুন রাখা হবে, সেখানে হয়ত এক গোড়ালি জল। বেলুনের সীমা পেরিয়ে গেলে শাস্তি দেওয়া হবে?‌ কোনও কিছুই মাথায় ঢুকছে না। যাঁরা এই আজগুবি ফতোয়া জারি করছেন, তাঁদের মাথাতেও কিছু ঢুকছে বলে মনে হয় না।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.