এবার আই এফ এ–র সভাপতি হতে চান মুখ্যমন্ত্রীর দাদা। পরিবারতন্ত্র কাকে বলে, কলকাতা ময়দান হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। আই এফ এ কর্তারাও কম দায়ী নন। এমন একটি লোককে আই এফ এ–র প্রতিনিধি করেছিলেন। বাবুনকে বারবার বাংলার ম্যানেজার করেছেন। স্রেফ মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি রাখার স্বার্থে তোল্লাই দিয়ে গেছেন। এখন ঠ্যালা সামলান। লিখেছেন রজত সেনগুপ্ত।।
পরিবারতন্ত্র কাকে বলে, এবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে কলকাতা ময়দান। প্রায় সব জায়গাতেই দখল নিতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার।
এতদিন মুখ্যমন্ত্রীর দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। এবার কমনওয়েলথ গেমসে বাংলা থেকে কোনও পুরুষ খেলোয়াড় যাননি। গেছেন দুই কর্তা। একজন মুখ্যমন্ত্রীর দাদা, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যজন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন (বাবুন) বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের একজন বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, অন্যজন সচিব।
হকি সংস্থার সচিবও রয়েছেন বাবুন। কদিন আগে তিনি হয়ে গেলেন মোহনবাগানের ফুটবল সচিব। নিজের চেয়ার সুরক্ষিত রাখতে তাঁকেই এগিয়ে দিলেন অঞ্জন মিত্র। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইকে সামনে রাখলে অন্যরা তেমন বিরোধীতা করবে না, এই ছিল অঙ্ক।
ভাই যখন মোহনবাগানের ফুটবল সচিব হলেন, তখন দাদাকেও কিছু একটা হতে হয়। এবার তাঁর ইচ্ছে হয়েছে, তিনি আই এফ এ সভাপতি হবেন। তাঁর দাবি, বর্তমান সভাপতি সুব্রত দত্ত বাংলার ফুটবলের জন্য কিছু করছেন না। তিনি এবার উন্নতি করতে চান।
হায় রে! লোভ বাড়তে বাড়তে কোথায় গিয়ে পৌঁছয়। এবার তিনি ফুটবলের সর্বোচ্চ আসনে বসতে চাইছেন। বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কী অবস্থা, সবাই জানেন। বাংলা থেকে এবার একজনও পুরুষ খেলোড়ায় কমনওয়েলথে সুযোগ পায়নি। সরকারি টাকার চূড়ান্ত অপচয় চলছে। নিজের সংস্থাকে সামলাতে পারছেন না। এবার তিনি কিনা ফুটবলে নেতৃত্ব দেবেন।
আই এফ এ কর্তারাও কম দায়ী নন। এমন একটি লোককে আই এফ এ–র প্রতিনিধি করেছিলেন। বাবুনকে বারবার বাংলার ম্যানেজার করেছেন। স্রেফ মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি রাখার স্বার্থে তোল্লাই দিয়ে গেছেন।
এখন ঠ্যালা সামলান।