গত কয়েকদিনে অনেকেই বিভ্রান্ত। যাঁরা নিয়মিত বেঙ্গল টাইমসের পাঠক, তাঁদের অনেকেই মেলাতে পারছেন না। কী ব্যাপার, বেঙ্গল টাইমস কি হঠাৎ করে গেরুয়া পন্থী হয়ে গেল? সবসময় এক বিজেপি, রাম, গরু, যোগী, মোদি এসব করছে কেন?
শুরুতেই বলা যাক, ভেজাল হইতে সাবধান। বিজেপি–র সাইবার সেল নানা নামে সাইট চালু করেছে। সারাদিন ধরে তাদের মতো করে প্রচার করে যাচ্ছে। দাঙ্গায় উস্কানি, কখনও হিন্দুত্বের জিগির তোলা, এসব কাণ্ড করে যাচ্ছে। বাংলা ভাষাতেও তাদের সোশাল মিডিয়ার টিম বেশ সক্রিয়।
বেঙ্গল টাইমস সাড়ে তিন বছর ধরে স্বমহিমায় চলছে। আই এস এস এন রেজিস্ট্রেশনও আছে। যে কেউ আই এস এস এনের ওয়েবসাইটে গিয়ে সার্চ করলেই জানতে পারবেন। আই এস এস এন অনুযায়ী, এই নামের অধিকারী একমাত্র আমরা, আর কেউ নয়। নম্বর— 2455-5657
বিজেপি–র সাইবার সেল অন্য নামে একটি সাইট খুলেছে। খুলতেই পারে। কিন্তু মুশকিলটা হল, তাদের সাইটের নাম অন্য। কিন্তু যা যা পোস্ট করছে, তা বেঙ্গল টাইমস নাম নিয়ে করে যাচ্ছে। নানা জায়গায় বিশাল বড় বড় করে লেখা বেঙ্গল টাইমস। অথচ, সাইটের নাম একেবারেই আলাদা। অ্যাড্রেসবার–এও আলাদা ঠিকানা। কিন্তু ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে বেঙ্গল টাইমস নাম নিয়ে। নানা জায়গায় শেয়ার হচ্ছে বেঙ্গল টাইমস নাম নিয়ে।
গত সাড়ে তিন বছরে পাঠক মহলে কিছুটা হলেও পরিচিতি পেয়েছে বেঙ্গল টাইমস। যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল মানুষ ভালবেসেছেন বেঙ্গল টাইমসকে। লোকবল কম, তাই হার্ড নিউজ কমিয়ে ফিচারধর্মী বিষয়কে বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈচিত্র্যপূর্ণ ও আকর্ষণীয় ফিচারের জন্যই বেঙ্গল টাইমসের সুনাম। সাহিত্য থেকে সিনেমা, নাটক থেকে ভ্রমণ, খেলা থেকে জেলা, স্মৃতিধর্মী ফিচার থেকে লাইফস্টাইল, এমন নানা আকর্ষণীয় বিভাগ।
রাজনৈতিকভাবে রাজ্য বা কেন্দ্র কোনও শাসকেরই তাঁবেদারি করে না। সে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার, তেমনি ধর্মীয় হিংসা ছড়ানোর বিরুদ্ধেও সোচ্চার। কিছুটা বাম ঘেঁসা বলা যায়। কিন্তু নানা ইস্যুতে বামেদের নানা ভূমিকার সমালোচনাতেও সোচ্চার থেকেছে বেঙ্গল টাইমস। আবার পাঠকের ভিন্নমত ও সমালোচনাকেও খোলা মনেই গ্রহণ করেছে।
কিন্তু হঠাৎ একটি ভুয়ো সাইট কিছু বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। তাঁরা কী প্রচার করবেন, সেটা একান্তই তাঁদের নিজস্ব অধিকার। তাঁরা সারাদিন বিজেপি–রাম এসব কীর্তন করে যেতেই পারে। কিন্তু যেভাবে বেঙ্গল টাইমসের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা সুস্থ রুচির পরিচায়ক নয়।
প্রিয় পাঠকদের কাছে অনুরোধ, আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। বেঙ্গল টাইমসের নাম নিয়ে কিছু শেয়ার হলে, ওয়েব লিঙ্কটা একটু দেখে নেবেন। bengaltimes.in থাকলে, সেটাই হল বেঙ্গল টাইমসের পোস্ট। যদি অন্য সাইটের লিঙ্ক থাকে, সেটাও পড়তেই পারেন। কিন্তু তার দায় আমাদের ওপর চাপাবেন না। কারণ, ওইসব প্ররোচনামূলক পোস্টের দায় একান্তই তাঁদের।
বাজারে অনেক ভেজাল থাকে। তার মধ্যেও খাঁটি জিনিসটা চিনে নিতে হয়। এক্ষেত্রেও একটু সচেতন থাকবেন। সচেতন পাঠক খাঁটি আর ভেজালের তফাতটা ঠিক বুঝতে পারবেন, এই বিশ্বাস আছে।
সম্পাদক,
বেঙ্গল টাইমস