বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:
কোথায় যেতে পারেন বাইচুং ভুটিয়া? তৃণমূল ছাড়ছেন, এমন টুইটের পর থেকেই নানা জল্পনা। কেউ বলছেন, বিজেপি–তে যেতে পারেন। দার্জিলিং থেকে লোকসভায় দাঁড়াতে পারেন। কারও মতে, সিকিমের রাজনীতিতে মন দিতে পারেন। সেখান থেকে লোকসভায় দাঁড়াতে পারেন। কেউ বলছেন, সিকিম থেকে রাজ্যসভায় যেতে পারেন।
১) দার্জিলিং থেকে লোকসভা? তেমন সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। দার্জিলিংয়ে বিজেপি পরপর দুবার জিতেছে, এটা ঠিকই। কিন্তু নিজেদের সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই বললেই চলে। জিতেছিল মোর্চার কাঁধে চড়ে। সেই মোর্চা আর এই মোর্চার অনেক তফাত। সেই মোর্চা চলত বিমল গুরুংয়ের নির্দেশে। এই মোর্চা চলে বিনয় তামাং–অনীত থাপাদের কথায় (আরও ভাল করে বলতে হলে, মমতা ব্যানার্জির কথায়।) যে গুরুং নিজেই পাহাড়ে ফিরতে পারছেন না, তাঁর ভরসায় বাইচুং বিজেপি–র হয়ে লড়বেন? না, এতখানি বোকা অন্তত বাইচুং ভুটিয়া নন।
২) সিকিম থেকে এসডিএফের হয়ে লোকসভায়? সম্ভাবনা ক্ষীণ। আসন তো মাত্র একটি। পবন চামলিং সেই আসনটি তাঁকে ছাড়বেন? ধরে নেওয়া যাক, আসনটি বাইচুংকে ছাড়া হল। এসডিএফ থেকে জিতেও গেলেন। আগামীদিনে জনপ্রিয়তা আরও বাড়তে পারে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জার হয়ে উঠবেন না তো? পবন চামলিংকেও এত বোকা ভাবার কোনও কারণ নেই।
৩) সিকিম থেকে রাজ্যসভা। একটি মাত্র আসন। সেটি খালি নেই। যে ৫৮ টি আসনের নোটিফিকেশন বেরিয়েছে, সেখানে সিকিমের কোনও উল্লেখ নেই। রাজ্যসভার ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, হিসে লাচুংপার মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত। তাঁকে পদত্যাগ করিয়ে নিশ্চয় বাইচুংকে পাঠানো হবে না।
৪) সবথেকে জোরালো সম্ভাবনা রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ হওয়ার। এই বছরই শচীন তেন্ডুলকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। রেখারও মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই দুজনকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের আমলে। মোদি নিশ্চয় নতুন মুখ খুঁজবেন। শচীনের বদলে যদি বাইচুং হয়, কোনও প্রশ্নই উঠবে না।
তৃণমূল তো ছাড়লেন। এবার কোথায় যাবেন বাইচুং? নানা জল্পনা ভেসে বেড়াচ্ছে। নানা সম্ভাবনাকে একটু তলিয়ে দেখা। চৌরাস্তার মোড়ে আপাতত দাঁড়িয়ে। কোন দরজা খুলবে, বাইচুং নিশ্চয় জানেন।