বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:
বইমেলায় যত ভিড় হয়, সেই অনুপাতে কি বই বিক্রি হয়! প্রশ্নটা হামেশাই উঠে আসে। খাবারের স্টলের সামনে লম্বা লাইন দেখে আরও বেশি করে উঠে আসে। কিন্তু কেউ কেউ থাকেন, যাঁরা শুধু বই কিনতেই আসেন। তেমনই এক যুবকের সন্ধান পাওয়া গেল।
নাম মহেশ রায়। থাকেন মুম্বইয়ে। কলকাতায় এসেছিলেন শুধু বইমেলার জন্যই। ছিলেন বাইপাসের কাছেই একটি হোটেলে। তিনদিন ছিলেন। তিনদিন ধরে বইমেলায় ঘুরেছেন। বই কিনেছেন পৌনে দু লাখ টাকার। শনি আর রবি মিলে কিনেছিলেন ৭৫ হাজারের। সোমবার কিনলেন এক লাখ টাকার।
এই প্রথম নয়। এর আগেও এমনই কাণ্ড করেছিলেন তিন বছর আগে। সেবার কিনেছিলেন দেড় লাখ টাকার বই। এবার সেই অঙ্কটা পৌঁছে গেল পৌনে দু লাখে। এ নিছক তাঁর দাবি নয়। গিল্ডে জমা দেওয়া রসিদ এই দাবির স্বপক্ষেই কথা বলছে। অন্তত দশ হাজার টাকার বই কিনলে তাদের মধ্যে লটারির উদ্যোগ নিয়েছে গিল্ড। জমা দিতে হবে ক্যাশমেমো। মুম্বইয়ের এই বছর তিরিশের যুবক সতেরো খানা ফর্ম জমা দিয়েছেন। সত্যিই এগুলো আসল ক্যাশমেমো তো? গিল্ড কর্তারা কয়েকটি দোকানে যাচাই করে দেখেছন। দেখা গেছে, সত্যিই মিলে যাচ্ছে। অর্থাৎ, সত্যিই এই দামের বই কিনেছেন।
কিন্তু কী জাতীয় বই? জানা গেল, আধ্যাত্ম, জ্যোতিষ সংক্রান্ত বইই কিনেছেন। এই নিয়ে ভবিষ্যতে গবেষণা করতে চান। কিন্তু এত বই নিয়ে যাবেন কীভাবে? তিনি নাকি ট্রান্সপোর্ট বুক করেছেন। তিনি উড়ে গেলেন মুম্বই। বই যাবে পরে। এর আগে কেউ এত টাকার বই কিনেছেন? হয়ত কিনেছেন। কে কার হিসেব রাখে? তবে যেহেতু গিল্ড লটারির আয়োজন করেছে, যাঁরা বেশি দামের বই কিনছেন, তাঁদের অনেকেই লটারির জন্য ক্যাশমেমো জমা দিচ্ছেন, তাই কিছুটা হলেও আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে। গিল্ড কর্তাদের দাবি, এটা সর্বকালীন রেকর্ড। এর আগে একদিনে কেউ এত টাকার বই কেনেননি। অন্তত তাঁদের কাছে এমন হিসেব নেই।
(বইমেলার ডায়েরি। বেঙ্গল টাইমসে বইমেলা সংক্রান্ত নানা প্রতিবেদন। নানা বিষয়ে আপনিও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। এমন কোনও চরিত্রের সন্ধান পেলে তাঁর কথা লিখে পাঠাতে পারেন। ঠিকানা: bengaltimes.in@gmail.com)