ভারতী সেদিন সত্যিই খুব ভাল ছিলেন

১)‌ খড়্গপুর পুরসভায় এত চেষ্টা করেও জেতা গেল না। বিরোধীদের বোর্ড অনিবার্য। অমনি শুরু হল অপহরণ, ভয় দেখানো। নেতৃত্বে কে, কার অনুপ্রেরণা, সে সব বরং থাক। গোটা রেল শহর জুড়ে একসঙ্গে দাপিয়ে বেড়াল গুন্ডাবাহিনী আর পুলিস। বর্ষীয়াণ জ্ঞান সিং সোহনপালকেও কম হেনস্থা হতে হয়নি। বোর্ড অবশষে তৃণমূলের দখলেই এল।
২)‌ সবংয়ে ছাত্র খুন। সিসি ক্যামেরা ভ্যানিস। শাসকদের বাঁচাতে সেদিন কী কান্ডটাই না করেছিলেন পুলিস সুপার!‌
৩)‌ বিরোধীরা বাড়াবাড়ি করছে?‌ ধরে এনে নানারকম কেস দিয়ে দাও। জেলে ভরে দাও। সেই তালিকায় সেদিন বাদ ছিলেন না মানস ভুঁইয়াও। তাঁর নামেও খুনের মামলা থেকে শুরু করে মহিলা–‌কেস। কোনও কিছুই বাকি রাখেননি।

bharati ghosh3
৪)‌ শাসক দলের সভা। লোক জড়ো করতে হবে!‌ তাঁর হুমকিই যথেষ্ট। কোথা থেকে কত লোক আনতে হবে, না আনতে পারলে কী হবে, সবাই জানতেন।
৫)‌ বালি খাদান থেকে সিন্ডিকেট। গোটাটাই কন্ট্রোল করতেন একজন।
৬)‌ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের আসল সভাপতি কে?‌ সবাই জানতেন নামটা।
৭)‌ বিধানসভা ভোট। নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দিল। কিন্তু তারপরেও জেলাতে থেকেই গোটা ভোট কন্ট্রোল করলেন একজন।

সত্যিই সেদিন ভারতী ঘোষ খুবই ভাল ছিলেন। দক্ষ ছিলেন। অনুপ্রেরণার উৎস?‌ বলার জন্য কোনও পুরস্কার নেই। ‌

book-banner-strip

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.