রঞ্জন সেন
মহা সমস্যায় পড়েছে চিলি। একটু আয়েস করে জাতীয় সঙ্গীত গাইবে, তারও উপায় নেই। ফিফাও তালিবান হয়ে গেছে। ফতোয়া জারি করে দিয়েছে, নব্বই সেকেন্ডের বেশি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যাবে না। এ কেমন আজগুবি নিয়ম বুঝি না বাপু। ছোট ছোট ছেলেগুলো এত দূর থেকে খেলতে এসেছে। না হয় কয়েক একটু ধীরে সুস্থে জাতীয় সঙ্গীতটা গাইছে। তাও কাঁচি চালাতে হবে! গানটাও গাইতে দিবি না!
সমস্যা যেমন আছে, তেমনি সমাধানও আছে। আচ্ছা, চিলির জন্য যদি ছোট করে একটা জাতীয় সঙ্গীত লিখে দেওয়া যায়, কেমন হয়! চার পাঁচ লাইনের গান, যেটা নব্বই সেকেন্ডের মধ্যে দিব্যি শেষ হয়ে যাবে। এই বাংলায় রবি ঠাকুর ছিলেন। তাঁর লেখা গান থেকে তিনটে দেশের জাতীয় সঙ্গীত হয়েছে। এখন রবি ঠাকুর নেই তো কী হয়েছে? কয়েকদিন আগেই বাংলার এক মহান গীতিকারের লেখা গান নাকি প্লাটিনাম ডিস্ক পেল। সেরা পুজোর তকমা পেতে গেলে নাকি ওই গানটা বাজাতে হয়েছে। তাই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বেজেছে— মা মাগো মা, মাগো মা।
তাঁকে যদি অনুরোধ করা হয়, চিলির জন্য একটা জাতীয় সঙ্গীত তিনি লিখে দিতেই পারেন। লিখতেই পারেন ‘চিলি মানে লঙ্কা/সিপিএমের লবডঙ্কা।’ অথবা ধরুন ‘চিলি চিলি চিলি/এতদিন কোথায় ছিলি’। সেগুলোই না হয় ওদের ভাষায় অনুবাদ হবে। বৃন্দনীল সেনকে বললেন হল। তিনি এক্ষুনি সুর–টুর করে দু কলি গেয়ে শুনিয়ে দেবেন।
তাহলে আর দেরি কেন? চিলির জন্য এখনই নতুন করে জাতীয় সঙ্গীত লেখা হোক। চিলি মানে তো চিলি চিকেনও। আহা, বাঙালি আপন করে নিয়েছে। তাঁদের জন্য আমরা এটুকু করতে পারি না?