আপনাকে বুঝব, এমন শিক্ষা কি সত্যিই আমাদের আছে?‌

সত্রাজিৎ চ্যাটার্জি

মাননীয় অমর্ত্য সেন মহাশয় সমীপেষু,

জানিনা এই চিঠি আদৌ আপনার হাতে পৌঁছবে কিনা। না পৌঁছালেও বিশেষ ক্ষতি নেই। তবু তো কথাগুলো লিখে এবং সংবাদপত্রে প্রকাশ করে কিছুসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো। আর যতক্ষণ না সব কথাগুলো লিখতে পারছি, ততক্ষণ শান্তিও পাচ্ছি না। এই সামাজিক অবক্ষয়, মনুষ্যত্বের এই “পচন” দেখে ঘৃণায় সর্বশরীর সংকুচিত হয়ে যায়। তাই মাঝে মাঝে মনে হয় “এই দেশে আপনার মত মানুষ না জন্মালেই মনে হয় ভালো হত”। এই দেশটা ক্রমেই ইতরের দেশ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সভ্যতা, সংস্কৃতি, রুচিবোধ, মূল্যবোধ, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতাবোধ —এসব আজ মানুষের মন থেকে অতীত। তার জায়গায় এসেছে হিংসা, হানাহানি, অশালীনতা, অশ্লীলতা,অসম্মান প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা। আর সমাজের এই অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছেন আপনার মত বিশ্ববরেণ্য মানুষও। সর্বোপরি এর সঙ্গে রয়েছে ধর্মীয় অন্ধত্ব,অশিক্ষা, গোঁড়ামি, যা ছড়িয়ে পড়ছে সমাজ়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। প্রত্যাশিতভাবেই একটা সুস্থ সমাজ তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে।
আজ থেকে প্রায় বিশ বছর আগে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার “নোবেল প্রাইজে” ভূষিত হয়েছিলেন আপনি, যা দেশের স্বাধীনতা অর্জনের মতই একটা যুগান্তকারী ব্যাপারই বটে। ভারতবর্ষের মত একটি তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অর্থনীতির মত গোটা বিশ্বের “চালিকাশক্তি” একটি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার জিতে আপনি শুধু দেশের মুখই উজ্জ্বল করেননি, সেই সঙ্গে বিশ্বের অর্থনীতির দরবারে ভারতবর্ষকে উন্নীত করেছিলেন। ঊনিশ বছর বয়সে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যখন জীবনটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল আপনার, তখন চিকিৎসকের “পাঁচ বছর অবশিষ্ট আয়ু” জেনেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত না হয়ে সেই রোগের সাথে অদম্য সংগ্রাম করে জীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসা এবংঅর্থনীতিতে স্লাতক হয়ে অন্তরে লালিত স্বপ্নকে সার্থক করে তোলার নিরলস প্রচেষ্টা। অবশেষে দূরারোগ্য সেই ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ৪৫ বছর পরে অন্তরে লালিত সেই স্বপ্ন সার্থক হল। দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণদারিদ্রের অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮ সালে অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে ব্যাংক অফ সুইডেন পুরস্কার (যা অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত) লাভ করেন। পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, সারা ভারতবর্ষের মুখোজ্জ্বল তো করলেনই, সেই সঙ্গে গোটা বিশ্বের কাছে এই বার্তাই দিলেন যে ভারতবর্ষ থেকেও অর্থনীতির মত বিষয়ে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করা যায় । ভারতবর্ষ তথা এশিয়ার সর্বপ্রথম নোবেল প্রাপক হিসেবে রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার লাভ করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে এক অনন্য মর্যাদার আসনে উন্নীত করেছিলেন। বিশ্বের দরবারে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য স্বীকৃত ও সমাদৃত হয়েছিল। সেইরবি ঠাকুরের স্নেহধন্য আপনি। শোনা যায় যে “অমর্ত্য” নামটি বিশ্বকবি প্রদত্ত নাম। শৈশবে আপনি শান্তিনিকেতনেই দীর্ঘদিন পড়াশোনা করেছিলেন। বাঙালির চিন্তন-মননের সেই আরাধ্যদেব রবীন্দ্রনাথের পরে দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে এক গৌরবগাথা লিখেছিলেন আপনি, যা যতদিন বাংলা ও বাঙালি থাকবে, সেই ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরেই মুদ্রিত থাকবে।

amartya sen2
গতকাল একটি টি.ভি. চ্যানেলে দেশের কেন্দ্র সরকারে ক্ষমতাসীন দলের রাজ্য সভাপতি দেশের প্রতি আপনার অবদান সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন। শুধু তাই নয়, আপনার যোগ্যতা, আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অশালীন,অশ্লীল মন্তব্য করেছেন। টিভি চ্যানেলে সেই বক্তব্য শুনে আমি কিন্তু একটুও অবাক হইনি। কেনই বা হব ? অশিক্ষা এবং কুশিক্ষা, অজ্ঞানতা, অন্ধত্ব যে মানুষকে কত নীচে নামিয়ে আনতে পারে, মানুষকে যে “নরপশু” তে রুপান্তরিত করতে পারে, তার মনুষ্যত্বকে মাটিয়ে মিশিয়ে দিতে পারে, তার সর্বাপেক্ষা উদাহরণ এই বিকৃত রুচির মানুষটি। আর হবে নাই বা কেন ? এমন একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য, দেশের ইতিহাসে যাদের বর্বরতার নানাবিধ নজির আছে। যারা গণতান্ত্রিক দেশের সর্বোচ্চ অনুশাসন “সংবিধান” কেই মানে না, ধর্মই যাদের মূল চালিকাশক্তি, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভেদ-বিচ্ছেদ ঘটায়, শিক্ষা-সংস্কৃতির কোনও বালাই নেই যে দলের নেতা, মন্ত্রী, সদস্যদের মধ্যে, সেই দলের রাজ্য সভাপতি আপনার কৃতিত্বের মূল্যায়ন করতে আসেন কোন সাহসে? কোন সংস্কৃতিতে ? তাঁর কী যোগ্যতা আছে ? তিনি কি আদৌ জানেন নোবেল পুরস্কারের মর্ম, তার ঐতিহ্য?? আসলে এই অর্বাচীন, নির্বোধের এই অশালীনতা আসলে সবটাই এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্রের বৃহৎ হবার অপচেষ্টা। আর সেই প্রয়োগনীতিটি এতই নীচবৃত্তির, এতই অশ্লীল, এতই নিকৃষ্ট, সংকীর্ণ রুচির, যে ঘৃণায় সর্বাঙ্গ কুঁকড়ে যায়। গা রি- রি করে ওঠে। এটাই কি বাংলার তথা দেশের বর্তমান সংস্কৃতি? এটাই কি রুচিবোধ? যে বাংলা রবীন্দ্রনাথের জন্য, স্বামী বিবেকানন্দের জন্য, জগদীশচন্দ্র বসুর জন্য, সত্যজিৎ রায়ের জন্য ভারতবর্ষ তো বটেই সারা বিশ্বের কাছে অনন্যসাধারণ, সেই বাংলার এতটা অধঃপতন? এতটা নীচবৃত্তি একটি রাজনৈতিক দলের সদস্যের ? তাও আবার আপনার মত যশস্বী, লব্ধপ্রতিষ্ঠ, দেশকে বিশ্বদরবারে উন্নীত করা শিক্ষা-সংস্কৃতির এক পীঠস্থানের প্রতি? এর উত্তর একটাই। রবীন্দ্রনাথ “লোকহিত” প্রবন্ধে লিখেছেন “শিক্ষায় আনে চেতনা”। তাই যেখানে শিক্ষা নেই সেখানেই চেতনাহীন। আর চেতনাহীন মানুষ “নরপশু” তে রূপান্তরিত। তার না আছে মুল্যবোধ, না আছে কোনও শিষ্টাচার, না আছে কোনও রুচিবোধ। এদের সম্বন্ধে আলোচনা করতেও রুচিতে বাধে, জিহ্বাগ্রে থুথু এসে জমা হয়। দেশের কেন্দ্রের শাসক দলের এই সদস্য এইরকমই মনুষ্যত্বের কণামাত্র অবশিষ্ট না থাকা, বিকৃত রুচির এক মানুষ, যাঁর কৃতকর্মের জন্য কোনও অনুশোচনা নেই, যাঁর কোনও অপরাধবোধও নেই। “আকাশের গায়ে থুথু দিলে সেটা যে ফিরে এসে নিজের গায়েই লাগে,আকাশকে তা ছুঁতে পারে না” এই মহাসত্যটি বোঝার মত শিক্ষাটুকুও এই অর্বাচীনদের নেই। এমনকি নিজের দলের ইতিহাসটাও ঠিকঠাক পড়েননি। আপনাকে যখন ভারতরত্ন দেওয়া হয়, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম অটলবিহারী বাজপেয়ী। অর্থাৎ, এন ডি এ–‌র জমানাতেই আপনি পেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ সম্মান। আপনার কোনও অবদান নেই, তা সত্ত্বেও বাজপেয়ী আপনাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিচ্ছেন। একই দল, তবু আগের প্রজন্ম আর এই প্রজন্মের মাঝে কত ফারাক!‌

Interview-amartya-Aug5.qxp

মাননীয় সেন মহাশয়, সত্যি বলতে কি সিংহভাগ দেশবাসীর এখন এটিই রুচি, এটিই সংস্কৃতি। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা আপনাকে কিছু দিতে পারিনি। আপনার মত শিক্ষা সংস্কৃতির সুবিশাল বটবৃক্ষের উচ্চতাকে অনুভব করতে পারার মত মূল্যবোধ আর সভ্যতা আজ ৯০% দেশবাসীর নেই। যে দেশে বিজ্ঞান অপেক্ষা ধর্মীয় অন্ধত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, যে দেশে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের সমানাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়, যে দেশে পাথরের মূর্তির মাথায় বাটির পর বাটি দুধ ঢেলে পুণ্য লাভের আশা করা হয়, আর এক বাটি দুধ রাস্তার ধারে পড়ে থাকা উলঙ্গপ্রায়, অপুষ্টিতে শীর্ণ, বুভুক্ষু শিশুর মুখে ঢালার জন্য মানুষ থাকে না, যে দেশে ধর্মীয় স্থানে পাথরের মুর্তির গায়ে স্বর্ণালঙ্কার শোভিত হয়, রবিঠাকুরের “দীনদান” কবিতায় “রাজার বিলাসিতা “আর স্বর্ণ-দর্পের বুদবুদ” সেখানে বিকশিত হয়ে ওঠে অন্তরের ভক্তি-শ্রদ্ধাকে ছাপিয়ে আর অন্যদিকে দেশের ৭৫% মানুষের পরনে আভরণ তো দূর অস্ত, লজ্জা নিবারণের বস্ত্র জোটে না সেই মূঢ়তার মুখচ্ছবিসম্পন্ন দেশে আপনার মত যুক্তিবাদী, সমাজবিজ্ঞানের শক্তিতে বলীয়ান মানুষের কদর তো হবেই না, উপরন্তু এইরকম নোংরা আক্রমণের শিকার হওয়াটাই স্বাভাবিক। একবিংশ শতকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগান্তকারী বিপ্লবের যুগেও আমাদের দেশের সমাজ আজ এই স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। “দিলীপ ঘোষের” মত মানুষেরা তিলে তিলে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ে গোটা সমাজটাকেই সুশিক্ষা, সুসংস্কৃতি, মূল্যবোধের অভাবে অস্থিসার, বিকলাঙ্গ,ন্যুব্জ করে দিয়েছে। এ লজ্জা আমাদের !! এই ঘৃণার ক্ষত শুকোনোর নয়। কী দিয়েছেন আপনি দেশকে, আজ এই প্রশ্ন উঠছে ? নোবেলজয়ী আপনি, দেশের গৌরবময় উষ্ণীষে একটি স্বর্ণপালকের সংযোজন। এ ছাড়াও জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য মানব উন্নয়ন সূচক আবিষ্কার করেন। মহাশক্তিধর প্রথম বিশ্বের দেশ আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের আগেই প্রথম ন্যাশনাল হিউম্যানিটিস মেডালে ভূষিত হন। প্রায় দুশো বছর যে দেশের শাসনাধীন ছিল ভারতবর্ষ সেই ইংল্যান্ডের টমাস ডাব্লিউ ল্যামন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক অধ্যাপক এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। আপনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেলথ ইমপ্যাক্ট ফান্ডের অ্যাডভাইজরি বোর্ড অফ ইনসেন্টিভ ফর গ্লোবাল হেল্থ্ এর সদস্য। এছাড়াও আপনি দীর্ঘদিন প্রস্তাবিত নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবেও কাজ করেছেন। আপনার রচিত বই বিগত চল্লিশ বছর ধরে প্রায় তিরিশটি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। আপনি ইকনমিস্ট ফর পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির একজন ট্রাষ্টি। ২০০৬ সালে টাইম ম্যাগাজিন আপনাকে অনূর্ধ্ব ষাট বছর বয়সী ভারতীয় বীর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এবং ২০১০ সালে আপনার গৌরবময় স্থান হয়েছে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় । নিউ স্টেট্সম্যান ম্যাগাজিন আপনাকে বিশ্বের ৫০ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান দেয়। আর নোবেল পুরস্কারের প্রদত্ত অর্থ আপনি “প্রতীচী” নামে একটি সংস্থাকে বহু আগেই সসম্মানে দান করে গেছেন। দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতির যথার্থই আপনি আকাশচুম্বী এক মহীরুহ ,যাঁর স্নেহের ছায়াতলে অগণিত মেধাবী মানুষ শিক্ষা ও সান্নিধ্য লাভ করে কৃতী হয়েছেন। সেই আপনি দেশের জন্য কিছু করেননি ? করেছে শুধু দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা ? সেই নেতার সমর্থনে ও আপনার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে করা একদল অশিক্ষিত,আসামাজিক ও “দেশপ্রেমের আদিখ্যেতা” দেখানো “স্বঘোষিত দেশপ্রেমী”,মেকি জাতীয়তাবাদীরা যে ভাষা যে রুচির পরিচয় দিয়েছে, তা দেখে আমার এটাই মনে হয়েছে দেশপ্রেমের নতুন সংজ্ঞা, জাতীয়তাবাদের নতুন মানে মনে হয় দেশের বিশ্ববরেণ্য মানুষকে অপমান করাটাই,তাঁকে অশালীন, কদর্য ভাষায় আক্রমণ করাটাই। এটাই এখনকার পরিবর্তিত সমাজের রীতিনীতি। এটাই বাঙালীর রুচি,সভ্যতা,সৌজন্যবোধ।

অমর্ত্যবাবু,মনে একরাশ লজ্জা নিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি,এই “দুর্ভাগা দেশ”,এই “অসুস্থ সমাজ” আপনার জন্য নয়। আপনি মনে হয় অন্য কোনও দেশে জন্ম নিলেই ভাল করতেন। সেখানে শুধু সমাদরই পেতেন না, এই অসভ্যতার নিদর্শন আপনাকে দেখতে, শুনতে হত না। চাইব আপনি শতায়ু হোন, আরও আরও অনেক বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে আপনার স্বর্ণোজ্জ্বল প্রতিভার সাক্ষর রেখে যান, কিন্তু এই অভাগা দেশে আর ফিরে আসবেন না। অন্ততঃ যতদিন দেশের কেন্দ্র সরকারে এই অসভ্য, উগ্র ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলটি রয়েছে ততদিন এই দেশ, এই কলুষিত সমাজ আপনার মত দেবতুল্যের জন্য একেবারেই বেমানান।

ইতি আপনার এক গুণমুগ্ধ বাঙালি

Samsungcarnival_generic_gdnbig

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.