কাজীবাচা

তমাল গোলদার

কাজীবাচা নাম করে আছে এক নদী,
কল-কল, ছল-ছল বহে নিরবধি।

নদীর বুকেতে খেলে ছোটো ছোটো ঢেউ,
কেন এই ছেলেখেলা নাহি জানে কেউ!

ছেলেবেলা থেকে দেখি শুধু চলেছে ধেয়ে,
সব বাধা পেরিয়ে আঁকা-বাঁকা পথ বেয়ে।

দিন-রাত অনায়াসে বয়ে চলে সে,
কেন এই বয়ে চলা তাহা জানে কে!

nadi

কত শত ছোট যান তালেতে তাল মেলায়,
সারাবেলা স্রোতে ভেসে তীরে ফেরে অবেলায়।

দিন শেষ হলে পরে সবাইতো ঘরে ফেরে,
তবু সেই ছোটো নদী একাকিই ছুটে মরে।

কোথা হতে শুরু তার কোথা তার শেষ,
জানিনাতো কোনো কিছু তবু লাগে বেশ!

গাঙচিল, সাদা বক ওড়ে নিশি অবধি,
সত্যি, চমৎকার আমাদের ছোটো নদী!

দুই ধারে বালুচর তার পারে খোলা মাঠ,
দিনভর কোলাহলে মেতে থাকে খেয়াঘাট।

খুব ভোরে দেখেছি গিয়ে নদী তীরে,
সূর্যের জেগে ওঠা নদী বুক চিরে।

বহু বার একা একা নদী তীরে বসেছি,
নদী আর আকাশকে মিশে যেতে দেখেছি।

নদী চরে খালি পায়ে বহু বার হেঁটেছি,
ঢেউ ধরে ভেসে আসা কড়িগুলো খুটেছি।

শারদীয়া পূজা শেষে ভাসান বা রাসমেলা,
সারাগ্রাম সাথে নিয়ে করতাম জলে খেলা।

মনে বহু স্মৃতি আছে কাজীবাচা ঘিরে,
বারেবারে যেতে চাই কাজীবাচা তীরে।

কাজীবাচা ছোটো নদী, ছোটো হোক ভাই,
আমাদের ছোটো নদী, কোনো জুড়ি নাই।

(‌কবিতাটি লিখেছেন একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। নাম তমাল গোলদার। ছোট্ট একটি নদীকে নিয়ে কবিতা। অজানা, অচেনা সেই নদী যেন আমাদেরও বড় চেনা। কবিতাটি পড়ুন। কিশোর কবিকে উৎসাহিত করুন। আপনিও কবিতা, গল্প, অণু গল্প পাঠাতে পারেন। ঠিকানা:‌ bengaltimes.in@gmail.com) ‌

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *