ধীমান সাহা
একটা বছরে কতকিছুই না বদলে যায়। ঠিক এক বছর আগে। এমনই এক রাতে বার্বাডোজে উড়েছিল জয়ের নিশান। টি২০ বিশ্বকাপে ভারত প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেই ২০০৭ সালে। মাঝের সতেরো বছরে এই বিশ্বকাপ যেন অধরা মাধুরী হয়েই থেকেছিল। সতের বছর পর ধরা দিল ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে।
সেই দল আর এই দলে একজনই কমন চরিত্র। তিনি রোহিত শর্মা। সেই বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল তরুণ তুর্কি রোহিতের। আর এই বিশ্বকাপে তিনি অধিনায়ক। তাঁর হাতেই উঠে এল ট্রফি। আর সেই বিশ্বজয়ের মঞ্চেই ঘোষণা করলেন, টি২০ থেকে অবসর নিচ্ছি। এর চেয়ে ভাল বিদায়ের মঞ্চ আর কীই বা হতে পারত! একটা বৃত্ত যেন সম্পূর্ণ হয়েছিল সেইদিন।
বিরাট কোহলি। ২০১১–র একদিনের বিশ্বকাপ জয়ের সৈনিক। তরুণ তুর্কি সেদিন কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন শচীন তেন্ডুলকারকে। আর ২০২৪ এর বিরাট। নিজেই যেন কিংবদন্তি। ফাইনালে খেললেন ম্যাচ জেতানো দুরন্ত এক ইনিংস। আর চ্যাম্পিয়ন হয়ে তিনিও দিলেন বিদায় বার্তা। তাঁর ক্ষেত্রেও এর থেকে ভাল মঞ্চ কীই বা হতে পারত!
দেখতে দেখতে এক বছর পেরিয়ে গেল। সেদিন কি সত্যিই ভাবা গিয়েছিল, এক বছরের মাথায় রোহিত–বিরাটরা টেস্টের আঙিনাতেও ‘প্রাক্তন’ হয়ে যাবেন! তাঁরা নিজেরাও এমনটা ভাবেননি। কেন তাঁদের অবসরের পথে পা বাড়াতে হল, সেই কাহিনি একদিন না একদিন ঠিক সামনে আসবে। এটুকু নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এই অবসরের পেছনে রয়েছে এক চাপা দীর্ঘশ্বাস।
একদিকে বিরাট–রোহিত হীন ভারতীয় দল লিডসে সিরিজের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ল। অন্যদিকে, বিশ্বজয়ের এক বছর পূর্তি। একদিকে হাহাকার। অন্যদিকে, উল্লাসের বর্ষপূর্তি। মুদ্রার দুই পিঠে দুই ছবি। সত্যিই, একটা বছরে কতকিছুই না বদলে যায়।
