এবারের আইপিএলের সেরা আবিষ্কার কে? নিঃসন্দেহে তাঁর নাম বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৪ বছরের একটি ছেলে। যেন ঝড় তুলে দিয়ে গেল।
শচীন তেন্ডুলকার যখন মাত্র ১৬ বছর বয়সে খেলতে এসেছিলেন, তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বিস্ময় বালক’। বৈভবের বয়স তো আরও কম। তাঁকেও ‘বিস্ময় বালক’ বলাই যায়। এর আগেই ছেলেটি অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের হয়ে খেলে ফেলেছে। এবং অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিরুদ্ধে ঝোড়ো সেঞ্চুরিও আছে।
আইপিএলে যখন তাকে সই করানো হয়, তখন মনে হয়েছিল, সই করল ঠিকই, কিন্তু খেলার সুযোগ পাবে না। সাইডলাইনের ধারে বসে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
কিন্তু রাহুল দ্রাবিড়ের জহুরীর চোখ। খাঁটি হীরে চিনতে ভুল হয়নি। শুরুর দিকের ম্যাচগুলিতে ইচ্ছে করেই তাকে খেলানো হয়নি। নিজের প্রথম ম্যাচে দারুণ ছাপ রাখল। আর দ্বিতীয় ম্যাচে! ৩৫ বলে সেঞ্চুরি! আইপিএলে আর কোনও ভারতীয়র এই কৃতিত্ব নেই। মাত্র ১৪ বছরের ছেলেটি কী অবলীলায় একের পর এক ছয় মেরে যাচ্ছে! ভয়ডর বলে কিছু নেই!
ফ্লুকে একটা–দুটো ছয় হতেই পারে। তাই বলে সেঞ্চুরি! জাত না থাকলে হয় না। পরের ম্যাচগুলিতেও বৈভব বুঝিয়ে দিল, আইপিএলের আঙিনায় সে মোটেই বেমানান নয়। প্রশ্ন হল, এরপর কী হবে? এবার তাকে নিয়ে বোলারদের আলাদা কোনও হোমওয়ার্ক ছিল না। কিন্তু পরেরবার তার দুর্বলতা খুঁজে সেই অনুযায়ী বিপক্ষ ছক সাজাবে। তাছাড়া, এবার তার ওপর প্রত্যাশার তেমন চাপ ছিল না। কিন্তু সামনেরবার সে নামবে তারকা হয়ে। সীমাহীন প্রত্যাশার চাপ তাড়া করবে।
আশা করব, অর্থ আর খ্যাতির হাতছানিতে এই উঠতি কুঁড়ি অকালে ঝরে যাবে না। চোদ্দ বছরের এই কিশোর অনেক লম্বা রেশের ঘোড়া হয়ে উঠুক।
লম্বা রেশের ঘোড়া হয়ে উঠুক বৈভব
