উত্তম জানা
কয়েক বছর আগেও যা ভাবা যেত না, আজ তা কত সহজে আয়ত্বে এসে গেছে। কোনও একটা অ্যাপে আপনি খাবারের অর্ডার দিলেন। আধ ঘণ্টার মধ্যে তা আপনার দরজায় হাজির। এমনটা কি ভাবা গিয়েছিল? আগে ট্যাক্সি পেতে আপনাকে কত ঝক্কিই না পোহাতে হয়েছে। ট্যাক্সি চালকের কাছে কতবার ‘না’ শুনতে হয়েছে। এখন চূড়ান্ত অসময়েও আপনার বাড়ির দরজায় অত্যাধুনিক গাড়ি এসে হাজির।
কিন্তু আমি অন্য একটি প্রসঙ্গের অবতারণা করতে চাই। অ্যাপের মাধ্যমে অনেক কিছুর মতো বইও অর্ডার দেওয়া যায়। সেটিও আপনার বাড়িতে পৌঁছে যায়। কিন্তু বড্ড দেরিতে। একটা বিরিয়ানির প্যাকেট আধঘণ্টায় চলে আসছে, সেখানে একটা বই পৌঁছতে দশ বারো দিন লেগে যাচ্ছে। এত দেরি কেন? এতে তো অর্ধেক আকর্ষণই চলে যাচ্ছে। আপনি আপনার পছন্দের কারও জন্মদিনে একটা ভাল বই উপহার দিতে চান, কিন্তু তা কবে পৌঁছোবে, আপনি নিজেও জানেন না। বা আপনার কোনও বই পড়তে ইচ্ছে হল, আপনি জানেন, সেটা সাতদিনের আগে আসবে না। এতে আপনার ভেতরের ইচ্ছেটাই যেন চলে গেল। অর্ডার দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও আপনি থমকে গেলেন।
পছন্দের খাবার যদি আধ ঘণ্টায় পাওয়া যায়, পছন্দের বই পেতে এত দেরি কেন? ফুড ডেলিভারি অ্যাপ যদি এত দ্রুত কাজ করতে পারে, বুক ডেলিভারি অ্যাপ কি আরও একটু গতিশীল হতে পারে না? বড় খাবারের দোকান যেমন আছে, তেমনই বড় বইয়ের দোকানও তো আছে। তাঁরা এত পিছিয়ে থাকবেন কেন? তাঁরা কি দ্রুত বই পৌঁছে দেওয়ার একটা উপায় বের করতে পারেন না? বাংলার প্রকাশকরা একটু ভেবে দেখতে পারেন।
