কট্টর তৃণমূল বিরোধী বলে পরিচিত। এমন একজন হঠাৎ বলে বসলেন, ‘আমি চাই, এবার এই রাজ্যে তৃণমূল ৪১ টা আসনে জিতুক।’ বোঝা গেল, গরম পড়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এত আসন চাইতে ভরসা পাচ্ছেন না। ইনি কিনা ৪১ আসন চেয়ে বসলেন! ব্যাপারটা কী?
পরে মনে হল, একটা আসন তো ছেড়ে রাখলেন। সেটা কোনটা? এবার আসল ইচ্ছেটা জানা গেল। তিনি চান, তৃণমূল ডায়মন্ড হারবারে হারুক। বাকি সব আসনে জিতলেও তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল হারবে, এমন স্বপ্ন কি বিরোধীরাও দেখছেন? আসলে, একেই বলে ‘উইশফুল থিঙ্কিং’। অর্থাৎ, ঘটুক বা না ঘটুক, আমি চাই।
মনে হল, এটা নিয়ে একটা বিশেষ সংখ্যা হলে কেমন হয়? কেউ হারলে যদি কেউ খুশি হয়, তাহলে কেউ জিতলেও নিশ্চয় অনেকে খুশি হবেন। কার জয় চাই, কার হার চাই। এই নিয়ে শুরু হল সমীক্ষা। নানারকম নাম উঠে এল। অদ্ভুত সব ব্যাখ্যাও উঠে এল। কোথাও যুক্তির পাল্লা ভারী, কোথাও আবেগের। প্রবল বাম সমর্থক, অথচ বাম প্রার্থীর চেয়েও বেশি করে তিনি কিনা চাইছেন অধীর চৌধুরির জয়। কেউ আবার চাইলেন অভিজিৎ গাঙ্গুলির জয়। কং মনষ্ক, অথচ জয় চাইছেন দিলীপ ঘোষের। আবার উল্টোটাও আছে, তৃণমূলের সমর্থক। অথচ, চাইছেন দলবদলুরা যেন না জেতেন। কেউ আমলা, কেউ চিকিৎসক। সব নাম সামনে আনাও মুশকিল। তাই, কোথাও কোথাও ভাবনাটা তাঁদের, কিন্তু ছদ্মনামের একটা আড়াল রাখতে হয়েছে।
চাইলে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়ানো যেত। আরও কিছু উইশফুল থিঙ্কিং বাড়ানো যেত। রাজ্য ছেড়ে দেশের পরিসরেও উঁকি দেওয়া যেত। কিন্তু কোথাও তো একটা থামতে হয়। তাই এমন দশটি লেখাই বেছে নেওয়া হল। কোনওটা মিলবে। কোনওটা হয়তো মিলবে না। নাই বা মিলল! চাওয়াটা তো মিথ্যে নয়। একটু অন্যরকম ভাবনা। পড়ে দেখুন। মতামত জানান।
*****
পুরো ম্যাগাজিনটি আপলোড করা আছে। ডাউনলোড করলেই পড়তে পারবেন। ওয়েবলিঙ্ক করা আছে। নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।তার নীচে, প্রচ্ছদের ছবিতেও ক্লিক করতে পারেন। সেই ছবির সঙ্গেও ওয়েব লিঙ্ক করা আছে।
https://bengaltimes.in/wp-content/uploads/2024/05/VOTE-SPECIAL.BENGAL-TIMES.pdf