বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন
আবার তিনি হাজিরা দিলেন। আবার সেই সাজো সাজো রব। আবার তিনি বেরিয়ে এসে ভাষণ দিলেন।
তবে, এবার একটু ফারাক আছে। আগে তাঁকে আট ঘণ্টা, ন ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হত। দিনভর মিডিয়ার নানা জল্পনা, দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে তিনি বেরিয়ে আসতেন। দীর্ঘ এক ভাষণ দিতেন। কখনও কেন্দ্রকে আক্রমণ করতেন। কখনও বলতেন, সিবিআই–ইডি আমার কিছুই করতে পারবে না।
এবার অবশ্য সুর অনেকটাই নরম। তিনি বলে গেলেন, সাড়ে ছ হাজার পাতার নথি দিয়ে গেলাম। আমি তদন্তে সহযোগিতা করছি। চাইলে এড়াতেই পারতাম। কিন্তু এড়াতে চাইনি। আমার লুকোনোর কিছু নেই। যখন ডাকা হবে, তখনই আসব।
আহা, এ কী কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে। এমন কথা শুনতেও তো ভাল লাগে। হঠাৎ গলার স্বর এত নরম হয়ে গেল কেন, কে জানে!
আসলে, বারবার তাঁকে ডেকে পাঠানো, তাঁর হাজিরা দেওয়া, বেরিয়ে এসে ভাষণ দেওয়া। এই দৃশ্যগুলো বড় একঘেয়ে হয়ে গেছে। যত না তাঁর ওপর রাগ হয়, তার থেকে বেশি রাগ হয় সিবিআই বা ইডি কর্তাদের ওপর। বারবার বেরিয়ে এসে তিনি এমন ভাষণ দেওয়ার স্পর্ধা পান কীভাবে? সত্যিই যদি ঠিকঠাক জেরা হত, ছাড়াও পেতেন না। আর ছাড়া পেলেও বেরিয়ে এসে গলা উঁচিয়ে কথা বলতে পারতেন না।
আসলে, তিনি জানেন, ইডি সত্যিই তাঁর কিছু করতে পারবে না। ইডিকে যাঁরা চালান, তাঁদের আশীর্বাদের হাত তাঁর মাথায়। এখানে যদি পিসি থাকেন, ওখানেও মামারা আছেন। যতক্ষণ এই মামারা আছেন, ততক্ষণ তাঁর কোনও চিন্তা নেই। রাজ্য বিজেপি সত্যিই ছাগলের তৃতীয় সন্তান। কী হচ্ছে, তাঁরাও সব বুঝতে পারছেন। কিন্তু জাতীয় নেতৃত্বের সামনে কিছু বলার মতো মুরোদ তাঁদের নেই।
তাই তদন্ত চলবে। এই প্রহসন চলবে। আসল মাথা আড়ালেই থেকে যাবেন।