এমন এক কিংবদন্তি মানুষের শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে একেবারে নিঃশব্দেই। বছর দুই আগের কথা। সেবার চারিদিকে করোনার আতঙ্ক। টিভি খুললেই করোনা। কাগজে খুললেও করোনা। রাস্তা শুনশান। তার মাঝেও যেটুকু লোক সমাগম, সেখানেও যেন করোনা ছাড়া কিছুই ছিল না। এমন আবহে কে সত্যজিৎ রায়! তাঁকে আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম।
ঠিক গতবছর। ২ মে ছিল ভোটের ফল প্রকাশের দিন। কারা আসবে ক্ষমতায়? ফের তৃণমূল? নাকি চোরাস্রোতে ঢুকে পড়ছে গেরুয়া হাওয়া! এই আলোচনাতেই আগের কয়েকদিন মশগুল ছিল বাঙালি। ২ মে সকাল থেকেই বাঙালি টিভির সামনে, ভোটের রেজাল্ট দেখায় ব্যস্ত। সকাল থেকেই বিশেষজ্ঞরা সেজেগুজে বসে গিয়েছিলেন ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণে। দুপুর থেকেই আবিরের বন্যা, জয়ের উল্লাস। ওই উল্লাসের মাঝেও কোথায় সত্যজিৎ!
পরপর দুটো বছর আমরা কিন্তু বেশ নির্লিপ্তই ছিলাম এই কিংবদন্তিকে নিয়ে। শতবর্ষ–টর্ষ চুকে যেতে এবার আমাদের মনে পড়েছে তাঁর কথা। টুকটাক দু–একটা বিশেষ সংখ্যা বেরোচ্ছে। টিভির পর্দায় আবার তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ। কেউ বা ধামাকা দিতে সৌরভ গাঙ্গুলিকে নিয়ে হাজির হয়ে যাচ্ছেন সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে। কিন্তু এমন দিনেও বাঙালি কতটুকুই বা সত্যজিৎ চর্চা করল! ফেসবুকে কেউ কেউ ছবি সাঁটালেন। কেউ হোয়াটস অ্যাপ স্টেটাসে সত্যজিৎ রায়ের ছবি দিয়ে তাঁকে ধন্য করলেন। ওইটুকুই। হাতের সামনে ইউটিউব। ঢালাও নেট পরিষেবা। কিন্তু কজন দেখলেন সত্যজিতের অন্তত একটা ছবি? বইয়ের তাকের ধুলে সরিয়ে কজন পেড়ে নিলেন সত্যজিতের কোনও বই!
এবার তবু ভাল। অন্তত করোনা ভীতি বা ভোট উল্লাসের মাঝে তিনি হারিয়ে যাননি। এই বিস্মৃতির আবহে এটুকুই যেন বড় প্রাপ্তি। বেঙ্গল টাইমসের সামর্থ্য সীমিত। নতুন–পুরনো লেখার ডালি মিলিয়ে তার মতো করে সত্যজিতের প্রতি রইল শ্রদ্ধার্ঘ্য। পড়ুন, পড়ান।
*****
পিডিএফে পুরো ই ম্যাগাজিনটিই দেওয়া হল। সঙ্গে ওয়েব লিঙ্ক। সেখানে ক্লিক করলেই পুরোটা পড়তে পারবেন।
নীচে, প্রছদের ছবিতেও ক্লিক করতে পারেন। সেখান থেকেও সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে এই সংকলনটি পড়ে নিতে পারেন।
https://bengaltimes.in/wp-content/uploads/2022/07/satyajit-roy-special-issue-2022.pdf