বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: আপাতত রাজ্যসভায় একটি আসন খালি হতে চলেছে। বিজেপি লোকসভার চার এমপি–কে প্রার্থী করলেও সেই রাস্তায় হাঁটেনি তৃণমূল। তাঁরা লোকসভার কোনও সদস্যকেই টিকিট দেয়নি। তবে রাজ্যসভার সদস্য মানস ভুঁইয়াকে ফের সবংয়ে দাঁড় করিয়েছিল। মানস যথারীতি সবংয়ে নিজের দুর্গ অক্ষত রেখেছেন। ধরে নেওয়াই যায়, রাজ্য মন্ত্রীসভায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে চলেছেন। সেক্ষেত্রে, রাজ্যসভার আসনটি তাঁকে ছাড়তে হবে।
অর্থাৎ, এখনই রাজ্যসভায় কাউকে পাঠানোর সুযোগ থাকছে তৃণমূলের সামনে। কাকে পাঠানো হতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। এমনিতেই এবার বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে টিকিট দেওয়া হয়নি। কেউ কেউ হেরেও গেছেন। নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর ভোট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন পূর্ণেন্দু বসু। তাঁর পুনর্বাসন হতেই পারে। গত দু’বছর ধরে আলিপুরদুয়ারে পড়ে আছেন ঋতব্রত ব্যানার্জি। লোকসভা বা বিধানসভায় তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি। তাঁর পুনর্বাসন হতে পারে। তবে আলিপুরদুয়ারে পাঁচটির পাঁচটি আসনেই হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। তাছাড়া, ঋতব্রতর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। ফলে, সেই কারণে তাঁর নাম বাদও যেতে পারে। গৌতম দেব বা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য হেরে গেলেও তাঁদের রাজ্যসভায় পাঠানোর সম্ভাবনা কম। ওমপ্রকাশ মিশ্র শিলিগুড়িতে হেরে গেছেন। তাঁর নাম উঠে এলেও আসতে পারে।
তবে সবথেকে জোরালো সম্ভাবনা যশবন্ত সিনহার। বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনেকদিন ধরেই প্রকাশ্যে মমতার হয়ে সওয়াল করে চলেছেন। ভোটের আগে তৃণমূলে যোগও দিয়েছেন। জাতীয় রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠার ইচ্ছেও রয়েছে। ফলে, তাঁকে রাজ্যসভায় আনা হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। বরং, সেই সম্ভাবনাই সবথেকে জোরালো।