সন্দীপ লায়েক
তিনদিক ম্যানগ্রোভ দিয়ে ঘেরা। ঠিক যেন আইল্যান্ড। লক্ষ লক্ষ লাল কাঁকড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে বিচ জুড়ে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে দেখে নেওয়া যায় সুন্দরবনের শোভা।
দুর্দান্ত লোকেশন, ভিড় আর কংক্রিটায়নের হাত ধরে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। এখনও যাওয়া যায়। দিঘার হাল হতে আর বছর খানেক। তাই তার আগেই বেড়িয়ে আসুন হেনরিজ আইল্যান্ড।
সরাসরি wbfdc র সাইট থেকে অনলাইন বুকিং করে হেনরিজ আইল্যান্ডে gvt কটেজে থাকা যায়। চাহিদা প্রচুর। বিশেষত weekend এ। সুন্দরী কমপ্লেক্স বিচের কাছে। ম্যানগ্রোভ কমপ্লেক্স একটু দূরে। তাই দুটোতেই বুকিং না পেলে বকখালিতে থাকুন। সেখানে প্রচুর হোটেল। ৪০০ টাকা থেকে হোটেল ভাড়া শুরু।
২৫ ডিসেম্বর, পুজোর দিনগুলো ছাড়া বকখালিতে খু্ব বেশি ভিড় নেই। এসে হোটেল বুক করুন। বিচে স্নান করুন। সন্ধ্যে বেলায় সমুদ্রতটে ঘণ্টায় দশটাকা ভাড়ায় চেয়ার নিয়ে মাছ কিনে ভাজিয়ে রাত্রের সমুদ্র চুটিয়ে উপভোগ করুন।
বকখালি বাস স্ট্যান্ডের লাগোয়া কুমীর প্রকল্প। মাথা পিছু দশ টাকা দিয়ে (বিকেল ৫ টা পর্যন্ত) টুক করে দেখে নিন। সেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরছে কুমীর ও হরিণের দল। ভাল লাগবে।
হাওড়া ধর্মতলা থেকে সরাসরি বকখালি sbstc বা cstc বাস ধরুন। ট্রেনে এলে শিয়ালদহ থেকে সকাল ৫: ১২ (ফাঁকা থাকে) বা ৭:২০ (খু্ব ভিড় হয়) নামখানা লোকাল/লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল ট্রেন ধরুন। ভাড়া ২৫ টাকা। জানালার ধারে সিট নিয়ে গ্রাম্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে, হকারদের কাছে চা, ঘুগনি, ছোলামাখা খেতে খেতে যথাক্রমে সকাল ৮ টা বা ১০ টায় নামখানা। পৌঁছে সরাসরি টোটো (ভাড়া ৩৫০/৪০০) বা বাসস্ট্যান্ডে বাস ধরে (২২ টাকা মাথাপিছু) সোজা বকখালি। এখন আর নৌকা করে খেয়া পেরোতে হয় না। ব্রিজের ওপর দিয়ে সোজা গন্তব্য। আর নিজের গাড়ি থাকলে তো কথাই নেই।
সাইটসিনে জম্বুদ্বীপ (বোটে মাথাপিছু ১২০ টাকা), বকখালি, ফ্রেজরগঞ্জ ঘুরে নিন। ফুল টোটো ভাড়া ৩০০-৪০০। তাই বেশি না ভেবে আপনার weekend সাজান। কপাল ভাল হলে জম্বুদ্বীপের পথে ডলফিন দেখতে পাবেন। আমরা এবার পেয়েছি।
হেনরিজের দূরত্ব? বকখালি থেকে মাত্র ৪ কিমি। সব সময় টোটো পাওয়া যায়। আদিকালের লোকদের মতো বিকাশভবনের গল্প ছাড়ুন। হেনরিজে থাকতে হলে সময় থাকতে আগে থেকে অনলাইনে বুক করুন এখান থেকে
http://wbsfdc.com/tourism/
(ছবি: প্রতিবেদক)