নির্মল দত্ত
সকাল থেকে যেন একটাই প্রশ্ন— কখন পদত্যাগ করছেন শোভন চ্যাটার্জি? অন্তত ডজন খানেক ক্যামেরার ব্যুম। অবশেষে পদত্যাগ পত্র এল। যদিও শোভন এলেন না। নিরাপত্তাকর্মীর হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন পদত্যাগপত্র।
নিয়ম অনুযায়ী তা জমা দিতে হয় চেয়ারম্যানের কাছে। অর্থাৎ, মালা রায়ের কাছে। মালা রায় যথারীতি বললেন, পদত্যাগপত্র পেয়েছি। গ্রহণ করেছি।
এই পর্যন্ত সরকারি বিবৃতি। আপত্তির কিছু নেই। নানারকম প্রশ্ন আসবে, সেটাই স্বাভাবিক। ইচ্ছে করলে এড়িয়ে যেতেই পারতেন। এড়িয়ে যাওয়ার অনেক রাস্তা খোলা ছিল। বলতেই পারতেন, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। পরে, আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কিন্তু তিনি অন্তত তিনবার বললেন, বিকেলে দলীয় বৈঠক আছে। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হবে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পুরসভার চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে যে এই কথা বলা যায় না, তা মালা রায় জানেন না? এতদিনের কাউন্সিলর। একসময় মেয়র পারিষদ ছিলেন। এখন তো পুরসভার চেয়ারম্যান। এর পরেও চেয়ারের মর্ম বোঝেন না? হ্যাঁ, এটা ঘটনা, কী হবে, তা ঠিক করার কোনও এক্তিয়ারই মালা রায়ের নেই। দলীয় বৈঠক থেকে নেত্রী যা ঘোষণা করবেন, সেটাই তাঁকে মেনে চলতে হবে। কিন্তু সেটা কি চেয়ারে বসে সরকারি সাংবাদিক সম্মেলনে বলা যায়?
কতভাবে এড়িয়ে চলা যেত। এড়িয়ে যাওয়ার অনেক রাস্তা ছিল। কিন্তু তিনি বেমালুম ‘দলীয় সিদ্ধান্ত’ আউড়ে গেলেন। কেন যে এঁদের এইসব গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসানো হয়!