বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: লেখকরা কি সারাক্ষণ লিখে চলেন? নাকি সময় মেনে লেখেন। একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম নিয়ম। কেউ লেখেন রাত জেগে। কেউ লেখেন ভোরের দিকে। কেউ আবার অফিসে কাজের ফাঁকে। কেউ লেখেন লেখার তাড়া অনুযায়ী। আজ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন। তিনি কখন লিখতেন? তাঁর বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ সাহিত্যিকের কাছে শোনা যায়, তিনি নিজেও বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি লেখেন মূলত সকালের দিকে। কখনও কখনও সারাদিনও লিখেছেন। কিন্তু সন্ধের পর কখনই কলম ধরেন না। এমনকী রাত জেগে লেখালেখির অভ্যেসও নেই।
সন্ধের দিকে বেশিরভাগ দিনই কোনও না কোনও সভা সমিতিতে যেতে হত। এমনিতেই বিস্তর চেনাজানা। নানা দিক থেকে আমন্ত্রণ আসতই। সহজে না বলতেও পারতেন না। চেনাজানা মানুষদের সচরাচর নিরাশ করতেন না। চেষ্টা করতেন একবার অন্তত যেতে। এভাবেই কারও জন্মদিন, কখনও কবি সম্মেলন, কখনও সান্ধ্য আড্ডা, কখনও নাটকের আসরে যেতে হয়েছে। কিঞ্চিত পানাহারও হয়েছে। তারপর লেখার মতো মানসিকতা থাকার কথাও নয়। তাই জোর করে লেখার টেবিলে বসতেন না। বেছে নিতেন সকালের সময়টাকেই। এমনকী রাত নিয়ে কবিতাও লিখেছেন সকালে।
অনুজ কবি, সাহিত্যিকদের বলতেন, রোজ একটা সময় বেছে নাও। কিছুক্ষণের জন্য হলেও সাদা পাতার সামনে বোসো। হয়ত কোনও লেখাই এল না। বা যেটা লিখলে, সেটা একেবারেই পছন্দ হল না। হয়ত নিজে লিখে নিজেই ছিঁড়ে ফেলে দিলে। তবু, দিনের একটা সময় অন্তত সাদা পাতার সামনে বোসো। কিছু একটা লেখার চেষ্টা করো। মনে রাখবে, লেখাও একটা সাধনা। লিখতে বসলেই মাথায় ভাবনা ঠিক এসে যাবে। কলম বেয়ে ঠিক নেমে আসবে।
নিজেও সময় বেছে নিতেন। সাদা পাতার সঙ্গে সময় কাটাতেন এভাবেই জন্ম নিয়েছে হাজার হাজার কবিতা। এভাবেই জন্ম নিয়েছে কত স্মরণীয় উপন্যাস।