কেন সভাপতি হতে পারলেন না চুনী গোস্বামী?‌

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:‌ এতদিন যিনি ক্লাবের সভাপতি ছিলেন, তিনি এবার সচিব। কাউকে না কাউকে সভাপতি হতেই হত। মোহনবাগানের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচিত কর্মসমিতিই সভাপতিকে নির্বাচন করে। টুটু বসু গোষ্ঠী ২১–‌০ তে জেতায় মতবিরোধ হওয়ার প্রশ্ন ছিল না। মোদ্দা কথা, টুটু বসু যাঁকে চাইতেন, তিনিই হতেন সভাপতি।
সূত্রের খবর, চুনী গোস্বামীকেই নাকি প্রথমে সভাপতি হিসেবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সভাপতি হতে গেলে অন্তত কুড়ি বছর ক্লাবের সদস্য হতে হবে। এই নিয়মেই নাকি আটকে যান জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী অধিনায়ক। তিনি দীর্ঘদিনের সদস্য হলেও ২০০৪ এর পর থেকে আর সদস্যপদ রিনিউ করাননি। সেই কারণে তাঁকে বর্তমান সদস্য বলা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে, তাঁকে সভাপতি করলে আইনি সমস্যা হতে পারত। তখনই নাকি পিছিয়ে আসেন টুটু গোষ্ঠী।

chuni goswami2
কিন্তু চুনী গোস্বামীকে ক্লাবের সহ সভাপতি করা হয়। এক্ষেত্রে আগে তাঁকে সাম্মানিক সদস্যপদ দেওয়া হয়। তারপর সহ সভাপতি হিসেবে তাঁর নাম মনোনীত হয়। সহ সভাপতির ক্ষেত্রে অবশ্য কতবছরের সদস্য হতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। যদিও ক্লাবের একটি গোষ্ঠী মনে করছেন, যে নিয়মের কথা বলা হচ্ছে, চাইলেই তা বদল করা যেত। চুনী গোস্বামীর মতো মানুষের জন্য নিয়ম শিথিল করাই যেত। টুটু বসু চাইলে, এই নিয়ে তেমন আপত্তিও উঠত না। আসলে, চুনীকে সভাপতি করতে চাননি বলেই এইসব নিয়মের কথা শোনানো হচ্ছে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.