সোহম সেন
প্রায় সব কাগজেই আছে খবরটা। গৌতম গম্ভীর নাকি বলেছেন, ধোনি যে দল নিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে, সেই দলটা আসলে সৌরভের সাজানো। ধোনির সাফল্যের পেছনে আছে দাদা।
বাঙালি হিসেবে কথাটা শুনতে বেশ ভাল লাগারই কথা। কিন্তু গৌতম গম্ভীর এই কথাগুলো আগে কখনও এভাবে বলেছেন! মনে করে দেখুন তো। এমনকী নিজে যখন আইপিএলে এই কলকাতার অধিনায়ক হলেন, তখনও শোনা গেছে! চতুর্থ আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নাইট রাইডার্স। অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। এই দলটাও কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলিরই তৈরি করা। পরে নিলামে কিছু অদল বদল হয়েছে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সৌরভকে কৃতিত্ব দিতে চাননি। বরং, বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, এই দল সৌরভের নেতৃত্বে সাফল্য পাচ্ছিল না। অধিনায়ক বদল হতেই দলটা বদলে গেল। এত বছর নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক। এই সিএবি–তেই রোজ আসতেন সৌরভ। বাড়িও নেহাত খুব দূরে নয়। চাইলেই যাওয়া যায়। কদিন গেছেন? কদিন পরামর্শ চেয়েছেন?
গত কয়েক বছর ধরে ক্ষমতাকে তোয়াজ করা গম্ভীরের একটা স্বভাব হয়ে গেছে। তাই, মাঝে মাঝেই তিনি দেশপ্রেমী সেজে পাকিস্তানকে হুঙ্কার ঝাড়েন। বিষয়টা নিয়ে বুঝুন না বুঝুন, দু চার লাইনের টুইট ছেড়ে দিলেন। অকারণে বিতর্ক তৈরি করেন। বোঝেন, বাজারে এটা এখন খাচ্ছে। এভাবেই তিনি এমপি হয়ে গেলেন। যতদিন ধোনি স্বমহিমায় ছিলেন, ততদিন ধোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তখন সৌরভের প্রশংসা শোনা যায়নি। এখন ধোনি আগের জায়গায় নেই, সেইসঙ্গে সৌরভ হয়ে গেছেন বোর্ড সভাপতি। তাই ঠিক হাওয়া বুঝে বিবৃতি ছেড়ে দিয়েছেন।
তাই এই গৌতম গম্ভীরদের সার্টিফিকেটকে খুব একটা পাত্তা দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।