একেকটা ছবি ছোটবেলা থেকেই মনে দাগ কেটে যায়। তেমনই একটা ছবি— ছোটি সি বাত। কে পরিচালক, তা বোঝার মতো বিদ্যেবুদ্ধি তখন ছিল না। ছিল শুধুই এক ভাল লাগা। বাসু চ্যাটার্জির প্রয়াণে শ্রদ্ধার্ঘ্য সন্দীপ লায়েকের।
নাম না জানা সিনেমাটা যখন দেখেছিলাম তখন সদ্য ঠোঁটের ওপরে হাল্কা গোঁফের রেখা দেখা দিচ্ছে। স্কুলের সুন্দরীরা মনের ভেতরে ঝংকার তুলে যাচ্ছে হামেশাই।
সিনেমার গল্পটা ছিল মিঠেকড়া, কিন্তু শুরুটা দেখতে বেশ কষ্ট হয়েছিল। গোবেচারা হিরোটার উপর বড্ড মায়া পড়ে গিয়েছিল তখনই। লোকটা ঠিক যেন আমি ও আমার বন্ধুগুলোর মতো.. ভালোবাসার কথা বলতে গেলেই একদম ক্যাবলা হয়ে যায়।
অন্যদিকে স্মার্ট দুষ্ট একজন পুরুষ, নায়িকাকে সঙ্গ দেয় যখন-তখন, আর বেচারা হিরোর মনোকষ্ট বাড়াতে থাকে। ব্যাকুল নায়ক, নায়িকাকে পাওয়ার জন্য লড়ঝড়ে মোটরবাইক থেকে জোচ্চোর সাধুবাবা..সমস্ত টোটকা কাজে লাগায়।
সবশেষে নানাপথ ঘুরে, নানা পথ এঁকে বেঁকে লাভগুরু অশোক কুমারের কাছে দীক্ষা ও জীবনে জবরদস্ত এক মোড় নেওয়া। সিনেমার মধ্যিখানে অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র ও হেমা গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স দিয়ে যান। সবশেষে ভালোবাসায় হয় মোক্ষলাভ।
নাম নাজানা অসাধারণ ওই সিনেমাটি সে–সময় কচি মনে একটি বড় দাগ দিয়ে চলে গিয়েছিল। নানান জায়গায় সেটি খুঁজেছি, দু একটি ঝলক অনেককে শুনিয়েওছি। কিন্তু কোথাও পাইনি।
সবশেষে টেলিভিশনে একদিন সিনেমাটির একটি অংশ দেখি ও নামটি পেয়ে যাই। সিনেমার নাম –‘ছোটি সি বাত’।
সিনেমার গোবেচারা নায়ক অমল পালেকর ও নায়িকা বিদ্যা সিনহা ও দুষ্ট সহচরের ভূমিকায় ছিলেন আসরানি। পরিচালক ছিলেন একজন বঙ্গ সন্তান— বাসু চ্যাটার্জি।
তারপর সিনোমটির অরিজিনাল ভার্সন জোগাড় করতে কষ্ট হয়নি এবং চিরস্থায়ী ভাবে মন ও কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে শোভা পায়। দেখতে বসলেই না বলা ‘ছোটি সি বাত’ গুলি নতুন করে ফিরে পায় তাদের সজীবতা।
(পরিচালক বাসু চ্যাটার্জির প্রয়াণে তাঁর স্মৃতিতে বেঙ্গল টাইমসের শ্রদ্ধার্ঘ্য।)