বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার দাবি ক্রমশ জোরদার হয়ে উঠছে। বিভিন্ন রাজ্য সরকার দাবি তুলছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দাবি করছে। জনমতও কিছুটা সেই রকম। ফলে, সরকারও সেই পথেই হাঁটছে। কোন সরকার আর অপ্রিয় হতে চায়!
বিভিন্ন স্পেশাল ট্রেনের তালিকা ঘোরাফেরা করছে। কোথা থেকে কত ট্রেন আসবে, কোথায় থামবে। এই রাজ্যেও নাকি ১০৫ খানা ট্রেন আসবে। তাই নিয়ে তরজাও চলছে। কেউ বলছে, এত কম ট্রেন কেন? রাজ্য ইচ্ছে করেই কম ট্রেন চালাচ্ছে।
অন্যান্য বিভিন্ন দেশে লকডাউনের আগে সাত দিনের বা দশ দিনের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। আমাদের দেশে এক রাতের ঘোষণায় হঠাৎ করেই লকডাউন হয়ে যায়। তখন যদি ফিরে আসার সময় দেওয়া হত, তাহলে এতখানি সমস্যা তৈরি হত না। কারণ, মহারাষ্ট বা গুজরাট থেকে যাঁরা ফিরবেন, তাঁরা তখনও সংক্রমিত হননি। তাঁরা এলাকায় ফিরে এলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু গত এক–দেড় মাসে তাঁদের অনেকেই সংক্রমিত। দীর্ঘ ট্রেন যাত্রায় সেই সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাঁরা যদি নিজের গ্রাম বা পাড়ায় ঘোরাঘুরি শুরু করেন, এই সংক্রমণ কোথায় গিয়ে থামবে, কেউ জানে না।
আসলে, কোন রাজ্যে কত পরিযায়ী শ্রমিক আছেন, তার কোনও হিসেবই সরকারের কাছে নেই। হিসেব থাকলে অনায়াসে তাঁদের সেখানে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা যেত। এখন যদি শ্রমিকরা ফিরে আসেন, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। আবার এত মানুষকে আলাদা করে কোয়ারেন্টিনে রাখার পরিকাঠামোও নেই। সবমিলিয়ে সমস্যা বেশ জটিল। যা আরও জটিলতর হতে চলেছে।