মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া এমন নির্দেশ দেওয়া সম্ভব!

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: বেশ কয়েকদিন তিনি খুব একটা সামনে আসেননি। কয়েকদিন প্রেস কনফারেন্সে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু দু তিন দিন চুপ করে থাকা তাঁর পক্ষে সত্যিই মুশকিল। তাঁকে কিছু না কিছু প্রতিভা মেলে ধরতেই হবে। এবার বেছে নিয়েছেন পঁচিশে বৈশাখকে। নিজের প্রতিভা মেলে তো ধরবেনই। সেইসঙ্গে তা জোর করে গেলানোর চেষ্টা।

অদ্ভুত একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। বিভিন্ন থানায় গেছে সেই নির্দেশিকা। মোদ্দা কথা, পঁচিশে বৈশাখ সকাল ৯ টা থেকে ১১ টার মধ্যে মাইক বাজিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা করোনা সচেতনতার গান বাজাতে হবে। বিভিন্ন এলাকার মানুষকে তা শোনাতে হবে। বোঝা যাচ্ছে, পুলিশের তেমন কোনও কাজকর্ম নেই। নইলে, এই কঠিন সময়ে কেউ এমন নির্দেশিকা জারি করতে পারে!

rabindra jayanti

এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। তিনি নিজের উদ্যোগে এমন একটি নির্দেশ জারি করে দিলেন! মুখ্যমন্ত্রীর গান বাজাতে হবে, এমন নির্দেশ জারি করা পুলিশের পক্ষে সম্ভব! নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, বাম জমানায় যদি এরকম নির্দেশ জারি হত, সেই পুলিশ অফিসার বিকেলের মধ্যে বদলি হয়ে যেতেন। আরেকধাপ এগিয়েও বলা যায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের লেখা কবিতা শোনাতে হবে, এরকম নির্দেশ জারি করার সাহসও কারও হত না। কারণ, জানতেন, তিনি এসব তোষামোদি পছন্দ করেন না।

সত্যিই কি জ্ঞানবন্ত নিজের দায়িত্বে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? নাকি বিশেষ অনুমতি নিতে হয়েছিল ? দ্বিতীয়টার সম্ভাবনাই বেশি। মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে এতবড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার জ্ঞানবন্তের নেই। সেক্ষেত্রে বলা যায়, মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন বলেই তাঁর গান বাজানোর ফতোয়া জারি করা হয়েছে। যদি অনুমতি না নেওয়া হয়, তাহলে জ্ঞানবন্তের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, দেখার অপেক্ষা রইল।

কতকাল আগে একটা গান শুনেছিলাম, গোলাম মালিক খোঁজে, মালিক গোলাম। যে চাটুকারিতা পছন্দ করে, তার কাছে চাটুকাররা ঠিক ভিড়ে যায়। একে অন্যকে এরা ঠিক চিনে নিতে পারে। এই নির্দেশিকায় সেটাই যেন আরও একবার সামনে এল।

 

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.