উত্তম কুমারের নাম শুনলেই বাঙালি এমন একটা ভান করে, যেন কতই না জানে। অথচ, এর মধ্যে একটা অদ্ভুত ফাঁকিবাজি রয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের কথা ছেড়ে দিন। যারা মাঝবয়সী, তাদের জিজ্ঞেস করুন তো, উত্তমের কোনও ছবি হলে গিয়ে দেখেছেন কিনা। আমি নিশ্চিত, দশজনের মধ্যে অন্তত নজন দেখেননি।লিখেছেন রাজেশ মুখার্জি।।
উত্তম কুমারের নাম শুনলেই বাঙালি এমন একটা ভান করে, যেন কতই না জানে। অথচ, এর মধ্যে একটা অদ্ভুত ফাঁকিবাজি রয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের কথা ছেড়ে দিন। যারা মাঝবয়সী, তাদের জিজ্ঞেস করুন তো, উত্তমের কোনও ছবি হলে গিয়ে দেখেছেন কিনা। আমি নিশ্চিত, দশজনের মধ্যে অন্তত নজন দেখেননি।
হয়ত বলবেন, হলে ওইসব ছবি চলে না। চলে না কেন ? আসলে, চললেও লোকে দেখতে আসবে না। এটা বুঝতে পেরেই হল মালিকরা চালান না। এমনকী এখন যে মাল্টিপ্লেক্সের রমরমা, সেখানেও উত্তমের ছবি নিয়ে সাতদিনের উৎসব হচ্ছে না কেন ? দেখি লোকে কেমন দেড়শো টাকার টিকিট কেটে ছবি দেখতে যায়!
হ্যাঁ, নন্দনে প্রতিবছর চলে। আমরা কজন জানি? কজন দেখতে যাই? এবছরও ২৪ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত রোজ দুটি করে উত্তম কুমারের ছবি চলবে। আমরা কজন খোঁজ রেখেছি? এতই যদি চাহিদা থাকত, তাহলে নন্দন টু-এর ছোট হলে কেন ? কেন নন্দন ওয়ানে নয়? আসল কারণটা শিল্পী সংসদও জানে। হল ভর্তি তো দূরের কথা, অর্ধেক টিকিটও বিক্রি হবে না।
হাতে হাতে স্মার্টফোন ঘুরছে। সারাক্ষণ সবার চোখ মোবাইলে। আনলিমিটেড ডেটা। যত খুশি ডাউনলোড করছে। খোঁজ নিয়ে দেখুন তো, গত এক বছরে উত্তম কুমারের কটা ছবি ডাউনলোড হয়েছে?।
না, দোষটা উত্তম কুমারের নয়। বদলে যাওয়া সময়ের এটাই প্রকৃত ছবি। কিন্তু এই সহজ ব্যাপারটা অনেকে মানতে চান না। তাঁরা ভাবেন, উত্তম কুমারের পর বোধ হয় বাংলা ছবিই হয়নি। এটা ভেবে তাঁরা কী আনন্দ পান, কে জানে।
(নানা আঙ্গিক থেকে উত্তম কুমারকে নিয়ে নানা রকম লেখা। সাত দিন ধরে এরকম অন্তত কুড়িটি লেখা প্রকাশিত হবে। চাইলে আপনারাও আপনাদের ভাবনা মেলে ধরতে পারেন। নির্দ্বিধায় নিজের মতামত জানাতে পারেন। )