বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: প্রথম তিন দফার ভোট শেষ। কী হতে পারে এই আটটি আসনে? ফলাফল বেরোবে ২৩ মে। কিন্তু এখনই বলে দেওয়া যায়, চূড়ান্ত খারাপ ফল অপেক্ষা করছে তৃণমূলের জন্য। এই আটটির মধ্যে বড়জোর একটি বা দুটি আসন পেতে পারে।
প্রথম দফায় ভোট হয়েছিল কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হার নিশ্চিত। অন্তত একলাখ ভোটে জিতবে বিজেপি। এই কেন্দ্রে বাম ভোটের অনেকটাই চলে গেছে বিজেপির দিকে। এমনকী তৃণমূল শিবিরেও ভাঙন ধরেছে। তাই, উত্তরবঙ্গে বিজেপি যদি একটিও আসন জেতে, সেটা হবে আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূল এগিয়ে থাকারই কথা। কিন্তু খোদ তৃণমূল শিবিরেই আশঙ্কার চোরাস্রোত। কী জানি, এই কেন্দ্রেও হয়ত হারতে হতে পারে।
তৃণমূলের অবস্থান সবথেকে ভাল জলপাইগুড়িতে। উত্তরবঙ্গে যদি একটি আসনও জেতে, তা হবে জলপাইগুড়ি। কিন্তু সেখানেও কি জয় নিশ্চিত? বলা মুশকিল।
দার্জিলিং। আর দশটা কেন্দ্রের সঙ্গে এই কেন্দ্রকে মেলানো যাবে না। সরকারের সাফল্যের অন্যতম বিজ্ঞাপন হল পাহাড়ে শান্তি ফেরানো। সরকার নিজেই বারবার এটা দাবি করে। দু বছর ধরে গুরুং পাহাড় ছাড়া। বিরোধী বলতে কার্যত কিছুই নেই। বিনয় তামাংকে জিটিএ–তে বসিয়েছে সরকার। এমন একটা ধারণা তৈরি করা হয়েছে যে, বিনয় তামাংরাই পাহাড়ের মুখ। বিজেপি প্রার্থী করেছে একেবারেই অখ্যাত রাজু বিস্তকে। সমতলে জাঁকিয়ে প্রচার করেছে তৃণমূল। প্রচারের যা ঢক্কা নিনাদ, তাতে সমতল থেকেই তো একলাখ ভোটে এগিয়ে থাকার কথা। কিন্তু এই কেন্দ্রেও বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে বড় ধাক্কা খেতে চলেছে তৃণমূল।
মালদার দুই কেন্দ্র। একটিতে জিততে পারেন ডালুবাবু। অর্থাৎ আবু হাসেম খানচৌধুরি। এখানে তাঁর লড়াই হতে পারে বিজেপির সঙ্গে। তৃণমূল লড়াইয়ে থাকবে বলে মনেও হয় না। ভোটের আগে দলবদল করেছেন মৌসম নুর। নিঃসন্দেহে অনেকটা এগিয়ে। তৃণমূল যদি উত্তরবঙ্গে দুটি আসন জেতে, একটি আসন হতেই পারে মালদা উত্তর। তবে এটাকেও নিশ্চিত বলা যাবে না।
রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট। দুটি কেন্দ্রই যাচ্ছে বিজেপির দখলে। অর্পিতা ঘোষ তৃতীয় হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। রায়গঞ্জে মহম্মদ সেলিমের জেতার সম্ভাবনাও কম। তিনি হয়ত দ্বিতীয় হতে পারেন। এখানেও জয়ের সম্ভাবনা মূলত বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরির।
সবমিলিয়ে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ফল খুবই খারাপ হতে চলেছে। আটটির মধ্যে একটি বা দুটি আসন পেলেও পেরে পারে।