মিডিয়া সমাচার
বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: মজিদ বাসকার কোথায় আছেন? কেমন আছেন? কত লোকের মনে এই প্রশ্নটা এসেছে। কত সাংবাদিক তাঁর খোঁজ করেছেন। ক্লাবকর্তারাও নানা সময়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। সবাই বারবার বিরক্ত করেছেন জামশিদ নাসিরিকে। বেচারা জামশিদ। তিনি বলেছেন, নম্বর জানি না, যোগাযোগ নেই। কিন্তু অনেকেই বিশ্বাস করেননি।
এতদিনে ধরা দিলেন সেই মজিদ বাসকার। প্রায় তিন দশক ধরে তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে কলকাতার মিডিয়া। অবশেষে তাঁকে ফোনে ধরতে পারলেন সংবাদ প্রতিদিনের সাংবাদিক দুলাল দে। এশিয়ান কাপ কভার করতে তিনি গেছেন দুবাইয়ে। সেখানেই কোনও এক ফুটবল এজেন্ট মারফত জোগাড় করেছেন মজিদের নম্বর। একপ্রস্থ কথাও হয়েছে। সংবাদ প্রতিদিনে সেই প্রতিবেদন প্রকাশিতও হয়েছে। সেই প্রতিবেদনের কিছু নির্যাস তুলে ধরা হল।
১) আপাতত মজিদের বয়স ৬২। কাজ করেন এক পোস্ট ব্যাঙ্ক অফিসে।
২) আছেন ইরানের খোরাম শায়ার–এ। সেখানে তিনি বেশ পরিচিত। মজিদের দাবি, সেখানে তাঁর নাম বললেই সবাই চিনতে পারবেন।
৩) ছোটদের কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। সেই দল খুজেস্তান প্রভিন্স লিগে খেলে। শারীরিকভাবে নিজেও যথেষ্টই ফিট রয়েছেন।
৪) কলকাতার অনেক কথাই মনে পড়ে। বিশেষ করে পিকে ব্যানার্জির কথা। তাঁর সঙ্গে একবার কথাও বলতে চান। এছাড়াও মনোরঞ্জন, প্রসূনের কথাও।
৫) মনে করেন, ইস্টবেঙ্গল ছাড়াটা তাঁর জীবনে মস্তবড় একটা ভুল। মহমেডানে গিয়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি। সেইসময়েই মানসিক অবসাদ দেখা দেয়।
৬) উঠে আসে জেনিফারের কথাও। সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেননি। তবে খুব নিবিড় সম্পর্ক ছিল, এমনটাও নয়।
৭) কলকাতা ছাড়েন ৮৯–৯০ সাল নাগাদ। তাঁর ভাই কলকাতায় এসে তাঁকে ইরানে নিয়ে যান।
৮) এখনও বিয়ে করেননি। বিশেষ কারও স্মৃতি? মজিদের দাবি, যা রোজগার করি, তাতে নিজেরটা কোনওরকমে চলে যায়। অন্য কারও দায়িত্ব নেব কীভাবে?
৯) জামশিদের সঙ্গে আর যোগাযোগ নেই। কয়েক বছর আগে জামশিদ একবার ইরানে গিয়েছিলেন। তখন জানতে পেরে মজিদ ফোন করেন। আর কথা হয়নি। জামশিদের সঙ্গেও কথা বলতে ইচ্ছে করে।
১০) কলকাতা তাঁকে এখনও মনে রেখেছে! জেনে কিছুটা আপ্লুত মজিদ। কলকাতা থেকে ডাক পেলেই তিনি আসতে চান।
পুনশ্চ: এখন তাঁর চেহারা কেমন হয়েছে। অনেকেই দেখতে চায়। জানতে পেরে ওই প্রতিবেদককে হোয়াটসঅ্যাপে নিজের ছবিও পাঠিয়েছেন মজিদ বাসকার। সেই ছবিটি এখানেও প্রকাশ করা হল।