রাজেশ পাত্র
কাগজে মাঝে মাঝেই খবর বেরোয়, মোর্চার বৈঠক। লোকসভা ভোটে কী রণকৌশল হবে, কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে নাকি আলোচনা হবে। বিনয় তামাংও বলে যান, আমাদের এই এই দাবি থাকবে। আমরা কী অবস্থান নেব, কেন্দ্রীয় কমিটিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
এসব আলোচনা, এসব মিটিংয়ের সত্যিই কি কোনও মূল্য আছে? বিনয় তামাংদের ক্ষমতা আছে আলাদা প্রার্থী দেওয়ার? বিনয় তামাংদের ক্ষমতা আছে আলাদা লড়াই করার? সহজ কথা, বিনয় তামাংরা তৃণমূলের একটি লেজুড় পার্টি। তৃণমূল যা চাইবে, তাই হবে। তৃণমূল যদি পাহাড় থেকেই কাউকে প্রার্থী করে, তাঁর হয়েই নামতে হবে। তৃণমূল যদি ভিনরাজ্যের কাউকে প্রার্থী করে, তাঁর হয়েও নামতে হবে। এর বাইরে কোনও ট্যাঁ ফুঁ করা বিনয় তামাংদের পক্ষে সম্ভব নয়। এমনকী, তৃণমূল যদি বিনয় তামাংকে তৃণমূলের টিকিটে লড়ার হুকুম দেয়, লেজ গুটিয়ে তাতেই রাজি হয়ে যাবেন বিনয় তামাং। তিনি যে মোর্চার সভাপতি, এটাও তখন ভুলে যাবেন। তাঁদের কী দাবি, কী ইস্যু, তাঁরা কাকে চাইছেন, এগুলোর কোনও মূল্যই নেই।
পাহাড়ে বিনয় তামাংদের না আছে সংগঠন। না আছে স্বতন্ত্র অস্তিত্ব। তাঁদের জিটিএ ছাড়া হয়েছে । বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, এর বেশি ভাবতে যেও না। যা প্রাপ্য, তার থেকে অনেক বেশি কিছু দেওয়া হয়েছে। বামন হয়ে চাঁদে হাত দিতে যেও না। লোকসভার স্বপ্নও দেখো না। এতদিন পরেও এই সহজ সত্যিটা যদি বিনয় তামাংরা না বুঝে উঠতে পারেন, তাহলে বুঝতে হবে তাঁদের রাজনৈতিক বোধবুদ্ধি এখনও পরিণত হয়নি।