সোহম সেন
এই তো কদিন আগে। মোহনবাগান লিগ জিতল। কতই না উৎসবের জোয়ার। কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে নিয়ে কতই না মাতামাতি। আর আজ! শঙ্কর প্রাক্তন হয়ে গেলেন। কোচেদের জীবনটা সত্যিই বড় ট্র্যাজেডির। জিতলে, তোমার মতো কোচ নেই। আবার হারলে সব দোষ গিয়ে পড়ে কোচের ওপরই।
হ্যাঁ, টানা কয়েকটা ম্যাচে মোহনবাগান জয় পায়নি। আই লিগের দৌড়েও সেভাবে হয়ত নেই। সব দোষ একা শঙ্করের হয়ে গেল? যাঁরা দল গড়েছেন, সেই কর্তাদের দায় নেই? যাঁরা ক্লাবের সব ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, ভাল কিছু হলে ষোলআনা কৃতিত্ব নিয়ে থাকেন, সেই কর্তাদের দায় নেই? সবাই কেমন দায় ঝেড়ে ফেলছেন।
শঙ্করলাল না হয় ভদ্রলোক। আত্মমর্যাদা সম্পন্ন কোচ। তাই তিনি নিজেই সরে দাঁড়ালেন। কিন্তু ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়নি তো? মানে মানে তুমি ছেড়ে দাও, নইলে তোমাকে ছাঁটাই করতে হবে, এরকম কোনও আগাম বার্তা দেওয়া হয়নি তো? শঙ্কর যদি পদত্যাগ করতেও চান, তাঁকে বোঝানো গেল না? তাঁকে তো বলাই যেত, এই মরশুমে তুমিই কোচ থাকবে। যদি বদল করতেই হয়, সামনের মরশুমে ভাবা যাবে।
কিন্তু এসব কোনও কিছুই হল না। শঙ্করলাল পদত্যাগ করলেন। ক্লাব কর্তারাও তা গ্রহণ করে নিলেন। তার মানে, ক্লাবকর্তারা বোধ হয় অপেক্ষাই করছিলেন কখন শঙ্করলাল নিজে থেকে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। তাহলেই নতুন কোচ আনা যাবে। নতুন কোচ এলেই রাতারাতি ফলাফল বদলে যাবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। সেটা কর্তারাও ভালভাবেই জানেন। তবু অবোধের গোবধেই আনন্দ। এই কর্তাদের আনন্দ, যাক এরশুমে একবার তো কোচ সরাতে পেরেছি!