ফুল বা গান স্যালুট তাঁর জন্য নয়

রজত সেনগুপ্ত

নীরবেই চলে গিয়েছিলেন শম্ভু মিত্র। লিখে গিয়েছিলেন ইচ্ছাপত্র। তাঁর মৃতদের যেন নন্দন বা কোথাও শায়িত না থাকে। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কোনও দরকার নেই। তাঁর ইচ্ছাপত্রকে সম্মান জানিয়ে পরিবারের লোকেরাও কাউকে খবর দেননি। দাহ হওয়ার পর সবাইকে জানানো হয়।

mrinal sen2

মৃণাল সেনও অনেকটা তেমনই অলিখিত ইচ্ছাপত্র করে গেলেন। মৃত্যুর খবর হয়ত চাপা রইল না। কিন্তু বারবার বলে গিয়েছিলেন, তাঁর দেহ যেন কোথাও শায়িত না থাকে। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কোনও প্রয়োজন নেই। ইদানীং অনেকের মৃত্যুতেই গান স্যালুট দেওয়া হচ্ছে। তাঁর সেটাও প্রয়োজন নেই। বিদায় নিলেন একেবারেই নিঃশব্দে।

ভবানীপুরের বাড়ি থেকে পিস ওয়ার্ল্ডের দিকে যখন মরদেহ গেল, সেই গাড়িতে কোথাও কোনও ফুলের চিহ্ন নেই। বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর ফুল দরকার নেই। গান স্যালুটও দরকার নেই।

আরও একটি মৃতদেহ হাইজ্যাক হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেল।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.