রজত সেনগুপ্ত
বায়োপিক নিয়ে যেন ধুম পড়ে গেছে। যে যাকে নিয়ে পারছে, বায়োপিক বানিয়ে ফেলছে। রিসার্চ নামক বিরাট এক কর্মকাণ্ড চলছে। তারপর যা হচ্ছে, তা পর্বতের মুষিক প্রসব। এমন রিসার্চের ছিরি, ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে থাকছে বিকৃতি। তার সঙ্গে গল্পের গরুকে গাছে তোলার পুচ্ছপাকামি তো আছেই।
ফের আসরে নেমেছেন সৃজিত মুখার্জি। এবার তিনি নাকি স্বপ্না বর্মনের বায়োপিক বানাতে চান। স্বপ্না ও তাঁর কোচের সঙ্গে নাকি একপ্রস্থ কথাও বলে নিয়েছেন। জেনে ভাল লাগল, স্বপ্নার কোচ নাকি রাজি হননি। তিনি নাকি বলেছেন, স্বপ্না খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর তাকে নিয়ে সিনেমা হোক, আপত্তি নেই। কিন্তু এখন এসব না হওয়াই ভাল। এতে ওর ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
স্বপ্নার কোচের ওপর শ্রদ্ধা বেড়ে গেল। তিনি জানেন, স্বপ্নার জীবন নিয়ে ছবি মানে, তার অনেকটা জুড়ে থাকবেন কোচ। তিনি এটাও জানেন, এখন সৃজিত আগ্রহ দেখালেও স্বপ্না খেলা ছাড়ার পর সৃজিত আগ্রহ দেখাবেন না। অর্থাৎ, ছবিটা হয়ত তৈরিই হবে না। কারণ, তখন হলে প্রচার পাওয়া যাবে না। এসব জানার পরেও তাঁর কোচ যে সংযম দেখিয়েছেন, সত্যিই ভাল লাগল।
রিসার্চের নামে যা যা গাঁজাখুরি তত্ত্ব সামনে আসছে, তা বাস্তবের থেকে কয়েক যোজন দূরে। স্বয়ং সৃজিতও এই রোগের বাইরে নন। তিনিও একের পর এক আজগুবি, গাঁজাখুরি ছবি বানিয়ে যাচ্ছেন। যেসব ছবি বানাচ্ছেন, তার কোনও মাথামুণ্ড নেই। যত দিন যাচ্ছে, ততই নিজেকে খেলো করে তুলছেন। মুশকিল হল, তাঁর ভাল বন্ধু নেই। তাই এই সহজ সত্যিটা তাঁকে বলার লোকও নেই।
সৃজিত কী করবেন, সেটা তাঁর বিষয়। তবু অনুরোধ, এখনই স্বপ্নার দিকে হাত বাড়াবেন না। আপনি অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি, ভাওয়াল রাজাদের নিয়ে থাকুন। এই মেয়েটাকে এখন ছুটতে দিন, লাফাতে দিন। ওঁকে যে এখনও অনেকদূর যেতে হবে!