পলাশ সেনাপতি
বন্ধ মানেই কতগুলো চেনা ছবি। এবারও বোধ হয় তার ব্যতিক্রম হবে না। যাঁরা বন্ধ ডেকেছেন, তাঁরা দুপুর গড়াতে না গড়াতেই প্রেস কনফারেন্স সেরে ফেলবেন। দাবি করবেন, মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছে। শাসক দল জোর করে বন্ধ ভাঙার চেষ্টা করেছে। পুলিসও বন্ধ ভাঙার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মানুষ মুখের ওপর জবাব দিয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে একটা বোঝাপড়া আছে। সেটা আবার পরিষ্কার হয়ে গেল। মানুষ পরিষ্কার বুঝিয়ে দিল, এই দুই শক্তির ওপর তাঁদের আস্থা নেই।
আর সরকারের দিক থেকে কী বার্তা আসবে? সেটাও মোটামুটি জানা কথা— বিরোধীদের কোনও জনসর্থন নেই। তারা রাজ্যে হিংসা বাঁধাতে চাইছে। রাজ্যে যে উন্নয়নের ধারা চলছে, তাকে থমকে দিতে চাইছে। এই কাজে তাদের মদত দিচ্ছে বিজেপি–ও। আমরাও বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা বন্ধ সমর্থন করি না। মানুষ ওই সর্বনাশা বন্ধকে প্রত্যাখ্যান করেছে। যানবাহন স্বাভাবিক ছিল। মানুষ কাজে বেরিয়েছে। সরকারি অফিসে প্রায় একশো শতাংশ উপস্থিতি ছিল। মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে, রাজ্যকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। সেই প্ররোচনায় মানুষ পা দেয়নি।
মোটামুটি এটাই হবে সম্ভাব্য চিত্রনাট্য। বিমানবাবু বা পার্থবাবু এই চেনা সংলাপ আউড়ে যাবেন।