মিডিয়া সমাচার
বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:
সুচিত্রার জীবনের শেষ নায়ক কে? না, উত্তম কুমার নন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ১৯৭৮–এ সৌমিত্রর সঙ্গে করা প্রণয়পাশা–ই হল সুচিত্রার শেষ ছবি। তার পর থেকেই একটু একটু করে স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান মহানায়িকা।
সৌমিত্রর সঙ্গে তার আগেও করেছেন সাত পাকে বাঁধা। সেই ছবির জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছেন। সেটাই সুচিত্রার জীবনে একমাত্র আন্তর্জাতিক পুরস্কার। কীভাবে আলাপ হয়েছিল সুচিত্রার সঙ্গে। একটি পত্রিকার বিশেষ ক্রোড়পত্রে সে ব্যাপারে স্মৃতিচারণ করেছেন সৌমিত্র। কখনও আত্মজীবনী লেখেননি। কিন্তু প্রতি শনিবার ধারাবাহিক লেখায় নানা মানুষকে ঘিরে অনেক অজানা কাহিনী তুলে ধরছেন। কোথাও স্মৃতিমেদুর। কোথাও খোলামেলা। কোথাও উঠে আসছে বিতর্ক। কখনও বলছেন পরিচালকদের কথা, কখনও সহ–অভিনেতাদের কথা, কখনও বিভিন্ন নায়িকার সঙ্গে কাজ করার অনুভূতি। কোনও কোনও লেখায়, সাক্ষাৎকারে আগেও নানা কথা উঠে এসেছে। আবার কিছু কিছু ঘটনা পাঠকের অজানা।
যেমন সুচিত্রা বাড়িতে শেষ তিনি কবে গিয়েছিলেন? সৌমিত্র অকপটেই জানিয়েছেন, ১৯৮৬ সালে মেয়ের বিয়েতে নেমন্তন্ন করতে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে আর কখনও দেখা হয়নি, এমনকী ফোনেও কথা হয়নি।
একসময়ের প্রিয় নায়িকার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে হয়নি? অল্প কথায় সৌমিত্রর উত্তর, ‘যিনি স্বেচ্ছানির্বাসন নিয়েছেন, তাঁকে আর নিজে থেকে বিরক্ত করার প্রয়োজন মনে করিনি।’
(কফিহাউস ক্রোড়পত্রে প্রতি শনিবার নিজেকে মেলে ধরছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। পাঠকেরা চাইলে সরাসরি সেখান থেকেও পড়তে পারেন। মিডিয়া সমাচার বিভাগে নানা কাগজে/পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হবে। কোথাও ভাল কিছু পড়লে, আপনারাও মেলে ধরতে পারেন।)