সন্দীপ লায়েক
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ও লালবাজার। দুটোই নাকি স্বনামধন্য। অন্তত বিভিন্ন গোয়েন্দা গল্প বা পুলিশ ডায়েরী পড়ে তাই জেনেছি। এদের চিন্তাভাবনা বা কর্মপদ্ধতি অনেকটাই একই রকম। যেকোন দূস্কর্মে তৎক্ষনাৎ সিদ্ধান্তে আসতে এঁরা দুজনেই পটু।আর সেই সমাধানটাও বেশ সুন্দর। মানে এখানকার বাংলা সিরিয়ালে যেমন দেখেন তেমনিই আর কি- আপনি না ভেবে যেটা ভাবেন সেটাই। মস্তীস্কের কোষে চাপ পড়ার ব্যাপার নেই।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ অর্থাৎ সখের গোয়েন্দা বা সত্যান্বেষীর সঙ্গে এদের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। পুলিশ ও গোয়েন্দা নিজেদের পদ্ধতিতে কাজ করে যাবেন ও কেসটাকে সাজাতে চাইবেন। কিন্তু শেষ কিস্তিতে গোয়েন্দারই জয় হবে। গোয়েন্দারা রহস্যের জট খুলে ফেলবেন মসৃনভাবে। দেখিয়ে দেবেন পুলিশ আসলে কি ভূলটাই করতে চলেছিল ও পুলিশের চোখে অভিযুক্ত বেমালুম ছাড়া পাবে সসম্মানে।
এখন স্কটল্যান্ডে ইয়ার্ডের খবর খুব একটা রাখিনা। তবে লালবাজার বা বঙ্গপুলিশের খবর ঠিক চোখে পড়ে। হাজার হৌক আদিকাল থেকেও বাংলার মানুষ আমি..এটুকু তো রাখতেই হয়। তাছাড়া ফেসবুক বা হওয়াটস অ্যাপের দৌরাত্ম্যে খবর না পড়ে উপায় আছে?
হালে একটা জিনিস খুব চোখে পড়ছে। মনে হচ্ছে লালবাজার বা বঙ্গপুলিশ অতীত থেকে দারুন ভাবে শিক্ষা নিয়েছে। সখের গোয়েন্দাদের সঙ্গে তাদের আজ কোন মতবিরোধ নেই। তারা যেন মেনেই নিয়েছে তাদের স্বল্পবুদ্ধির দৌড়। তাই আজকালকার চৌখস গোয়েন্দারা ঝটপট যেটা বলে দেন সেটা ধরেই তারা এগিয়ে যান ও কেস সাজান। এতে তাদের ওপর চাপ কম পড়ে। মানুষের কাছে সম্মানটাও দিব্যি ধরে রাখতে পারেন।
তবে একটা জিনিস কেউ কখনও মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করেছেন কিনা জানি না। শার্লক হোমস ও মাইক্রফট হোমস কে দেখুন। ফেলুদা তোপসেকে দেখুন। এখানকার তেনাদেরকেই দেখুন.. গোয়ন্দা জিন বা বংশ বলে কিছু একটা হয় নিশ্চয়। না হলে ..! !
এব্যাপারে গবেষনা করা আশু কর্তব্য। সেটা শেষ হলে জিনের এক যুগান্তকারী অধ্যায় শুরু হবে সন্দেহ নেই..