বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: নিজের তৈরি করা নিয়ম নিজেই মানছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এমন অভিযোগ তুলে সোচ্চার হলেন আলি ইমরান (ভিক্টর)। চাকুলিয়ার এই তরুণ বিধায়ক এই প্রশ্ন তুলে চিঠি লিখলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে।
ভোটপর্ব চলাকালীন একটি বিতর্ক সামনে আসে। কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। সেখানে প্রায় ছয় হাজার নিয়োগের কথা বলা হয়। কিন্তু তার পরীক্ষা হবে বাংলা ও নেপালিতে। অন্য কোনও ভাষায় পরীক্ষা দেওয়া যাবে না।
ভিক্টরের প্রশ্ন, বিধানসভায় এই মুখ্যমন্ত্রীই বিল এনেছিলেন। বলেছিলেন, উর্দু, হিন্দি, ইংরাজি, আলচিকি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তাহলে নিজের তৈরি নিয়ম তিনি নিজে মানছেন না কেন? রাষ্ট্রভাষা হিন্দি বা ইংরাজিতে দেওয়া যাবে না। উর্দুতে দেওয়া যাবে না কেন? রাজ্যের প্রায় তিরিশ শতাংশ মানুষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তাঁদের অনেকেরই মাতৃভাষা উর্দু। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিরাট অংশের মানুষ উর্দুতে কথা বলেন। অথচ, তাঁরা পরীক্ষা দিতে পারবেন না। উনি মুখে যতই সংখ্যালঘুদের বন্ধু হিসেবে দাবি করুন, কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সংখ্যালঘুদের অধিকার হরণ করতে উদ্যোগী। আগে জানতাম, তিনি সংবিধান মানেন না। আইন মানেন না। এখন দেখছি, নিজের তৈরি আইনেই তাঁর প্রবল অনাস্থা।
তাছাড়া, একটি ঘোষণায় আছে, দশ শতাংশ পদ নাকি সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত। অথচ, সংরক্ষণের যে তালিকা বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আলাদা করে সিভিক ভলান্টিয়ারের কোনও জায়গা নেই। এই বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞপ্তির কী মানে হয়?

