সু্প্রিয় সমাদ্দার
নির্বাচন নিয়ে বল এখন হাইকোর্টে। কী সিদ্ধান্ত হবে, বোঝা মুশকিল। তবে আবার নতুন করে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে পারে। মনোনয়নের সময় বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। বিরোধীরা যেন প্রার্থী দিতে পারেন, তার ব্যবস্থাও হতে পারে।
কিন্তু তড়িঘড়ি বন্ধ ডেকে দিলেন বামেরা। এই সময় কেন এই হঠাকারি সিদ্ধান্ত, মাথায় ঢুকছে না। এমনিতেই তৃণমূলের প্রতি মানুষের একটা অনাস্থা ও ঘৃণা তৈরি হচ্ছে। যাঁরা তৃণমূল করেন, তাঁরাও এমন হিংসা ও সন্ত্রাসকে মেনে নিতে পারছেন না। যাঁরা কোনওকালে বাম রাজনীতিকে সমর্থন করেননি, তাঁরাও আজ স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন, এমন অরাজকতা কখনও ছিল না। বাম জমানায় অন্তত এমন হিংসা, এমন সন্ত্রাস দেখা যায়নি।
এই যখন পরিস্থিতি, তখন শাসকদের পালে অক্সিজেন দেওয়া খুব জরুরি ছিল? কী ভাবলেন, একটা বন্ধ ডাকবেন, হইহই করে সেই বন্ধ সফল হয়ে যাবে! নিজেদেরকেই হাসির খোরাক করে তুললেন। হাইকোর্ট যখন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিয়েছে, তখন মোটামুটি ইতিবাচক কিছু হতে চলেছে, ধরে নেওয়াই যায়। কিন্তু এই অবস্থায় বন্ধ ডেকে নিজেদেরকে আরও প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিলেন।
যাঁরা এইসব সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা মানুষের চিন্তাভাবনার খবর ঠিকঠাক রাখছেন তো? এটুকু বলতে পারি, অনেক বাম মনষ্ক মানুষও এটা মেনে নিতে পারছেন না। লড়াইটা এমনিতেই কঠিন। তার ওপর নেতৃত্ব ঠিক করেই নিয়েছেন, সেটাকে আরও কঠিন করে তুলবেন। এই বন্ধের সত্যিই কোনও প্রয়োজন ছিল না। একজন বাম মনষ্ক হয়েও নিজের এই আপত্তি বেঙ্গল টাইমসে নথিবদ্ধ রাখলাম।