জগবন্ধু চ্যাটার্জি
অন্ডালে বিমান পরিষেবা চালু হল। এই নিয়ে বেঙ্গল টাইমসে ভিন্নধর্মী একটি প্রতিবেদন পড়লাম। লেখাটি বেশ যুক্তিপূর্ণ। সত্যিই তো, যদি কেউ অন্ডাল থেকে কলকাতা যাবেন ভাবেন, তিনি নিজেই অনেক সমস্যা ডেকে আনবেন। এই রুটটি খুব একটা সফল হবে বলে মনেও হয় না। কয়েক মাস চালুর পর যেমন হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আবার হয়ত তেমনটাই হতে পারে। আপাতত দিল্লি পর্যন্ত বিমান চালু হয়েছে। এটি কার্যকর হতেই পারে।
আমি একটি বিকল্প প্রস্তাব রাখতে চাই। বিমান পরিবহন দপ্তর নাকি বেসরকারি বিমান সংস্থা, নাকি রাজ্য প্রশাসন, কার কাছে আবেদন জানাব, জানি না। কীভাবে জানাতে হয়, তাও জানি না। তাই বেঙ্গল টাইমস মারফত বিকল্প এই প্রস্তাব দিচ্ছি। এই বিমানবন্দরটি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে, যদি চেন্নাইয়ের বিমান চালু করা যায়। অন্ডাল–দিল্লির থেকেও অন্ডাল–চেন্নাই রুট আরও বেশি জনপ্রিয় হতে পারে।
চিকিৎসার প্রয়োজনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে দক্ষিণ ভারতে যেতে হয়। কোনও ট্রেনেই জায়গা পাওয়া যায় না। তৎকালেও টিকিট পাওয়া যায় না। সাধারণ স্লিপার তো দূরের কথা, এসি থ্রি, এমনকী এসি টু–তেও জায়গা মেলে না। কারও কারও ক্ষেত্রে দ্রুতই যাওয়া প্রয়োজন। দুদিনের ট্রেন যাত্রার ঝুঁকি নেওয়া মুশকিল। তাই তাঁদের বিমানে যাওয়াই সুবিধা।
কলকাতা বা সংলগ্ন এলাকার লোকেরা দমদম থেকেই বিমান ধরতে পারেন। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের লোকেদের পক্ষে দমদম গিয়ে বিমান ধরা বেশ কষ্টকর। অন্ডাল থেকে বিমান পরিষেবা চালু হলে তাঁরা অন্ডাল থেকেই বিমান ধরতে পারবেন। দিনে একটি বা দুটি বিমান অনায়াসেই চলতে পারে। শুরুর দিকে যাত্রী পেতে একটু সমস্যা হলেও কয়েকমাস পরে ঠিকঠাক প্রচার হয়ে গেলে যাত্রী পেতে তেমন সমস্যা হবে না। তখন দেখবেন দুটি বিমান চালিয়েও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও একটি অনুরোধ, শুরুর দিকে বিমানের ভাড়া যদি কিছুটা কম রাখা যায়। তিন হাজারের মধ্যে রাখতে পারলে সুবিধা হয়। কারণ, রোগী ছাড়াও তাঁর সঙ্গে আরও দুজন বা তিনজন থাকেন। তাই বেশি ভাড়া হলে অনেকের পক্ষেই তা দেওয়া মুশকিল। তাই, বিমান সংস্থাগুলির কাছে আবেদন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখুন। সরকারের কাছেও অনুরোধ, কত কাজে তো কতরকম ভরতুকি দেওয়া হয়। চিকিৎসার কারণে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য টিকিট পিছু কিছুটা ভরতুকি দেওয়া হোক।
(বেঙ্গল টাইমসের ওপেন ফোরামে আপনিও লিখতে পারেন। নানা বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন। পরামর্শ দিতে পারেন। আমরা আপনার এই অভিযোগ ও পরামর্শ ই মেল মারফত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেব। চিঠি পাঠান বেঙ্গল টাইমসের ঠিকানায়।)
bengaltimes.in@gmail.com