বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: বেআইনি কয়লা খাদান চলছেই। যেখানে যেখানে বখরা যাওয়ার, চলেও যাচ্ছে। তাই সেই খাদানে মৃত্যু হলে ধামাচাপা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা।
বছর চারেক আগে। মেজিয়া এলাকার এক বেআইনি কয়লাখনিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত দেড়শোজন শ্রমিক। ধামাচাপা দিতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল জেলা পুলিশ প্রশাসন। এতবড় একটা কেলেঙ্কারি, কী বেমালুম লোপাট করে দেওয়া হল। কেউ জানতেও পারল না! জানতে দেওয়াও হল না।
ফের কয়লা খাদানে ধস। মৃত্যু অন্তত ৫ জনের। আহত আরও অনেকে। মৃত ৪ জনের নাম সুধন বাউরি, মানা বাউরি, কার্তিক বাউরি, জগু বাউরি। আরেকজনের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। চারজনেরই বাড়ি কাছাকাছি সিংজুড়ি গ্রামে। কোথায় এই খাদানে ধস হয়েছে, তাও বলা যাক। শালতোড়া থানার বাকুলিয়ায়। এত নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দেওয়া সত্ত্বেও জেলা পুলিশ সুপার ধামাচাপা দিয়ে বলে চলেছেন, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।
যে কেউ ওই গ্রামে গেলেই বুঝতে পারবেন, ঘটেছে না ঘটেনি। আসলে, ঘটেছে বললে অনেক কেলেঙ্কারি বেরিয়ে আসবে। বেআইনি খাদান কাদের প্রশ্রয়ে চলে, কোথায় কোথায় সেই বখরা যায়, স্থানীয়দের অজানা নয়। জেলার কোন মাতব্বর এর মাথায় আছেন। রাজ্যের কোন লোকটির কাছে আগে ভেট যেত। এখন নজরানা কার কাছে যায়, সবটাই জানা। নিশ্চিত থাকুন, কোনও মূলস্রোত কাগজেই এসব লেখাও হবে না। কোনও চ্যানেলের কোনও টিম সেই গ্রামে তদন্ত করতেও যাবে না। গেলেই বিপদ।
কোন গ্রামে দুর্ঘটনা, কারা মারা গেছেন, তাদের বাড়ি কোথায়, সব কিছুই বলে দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও তদন্ত হবে না। এরপরেও অস্বীকার করা হবে।
সত্যিই, ‘অনুপ্রেরণা’ বড় ভয়ঙ্কর জিনিস।