বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: বলিউড কখনই সেভাবে টানেনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। খ্যাতির শীর্ষে থাকতে থাকতে অনেকেই ছুটে গিয়েছেন মুম্বইয়ে। হিন্দি ছবিতে নিজেকে মেলে ধরতে চেয়েছেন। উত্তম কুমার থেকে বিশ্বজিৎ, মিঠুন থেকে প্রসেনজিৎ–ও গিয়েছিলেন হিন্দি ছবি করতে। মিঠুন নিঃসন্দেহে সফল। বিশ্বজিৎ–ও নিজের সময়ে অনেকটাই সফল। বাকিরা নিজেদের সুনামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি।
কিন্তু হিন্দি ছবি করার প্রস্তাব কি আসেনি? বেশ কয়েকবারই এসেছে। কিন্তু সেই হাতছানিকে উপেক্ষাই করেছেন সৌমিত্র। ঋষীকেশ মুখার্জির আনন্দ ছবিতেও অভিনয়ের প্রস্তাব এসেছিল। রাজেশ খান্নার সঙ্গে চিকিৎসক হিসেবে ছিলেন বন্ধু অমিতাভ বচ্চন। একজন বাঙালি ডাক্তারের চরিত্র। ঋষীকেশ চেয়েছিলেন, সেই বাঙালি ডাক্তারের চরিত্রে সৌমিত্র অভিনয় করুন। যে কোনও কারণেই হোক, সৌমিত্র সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তখন ঋষীকেশ গিয়েছিলেন অমিতাভের কাছে।
সেদিনের সেই ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আক্ষেপ ছিল না? আশি পেরিয়ে আসা সৌমিত্রর কথায়, রোলটা না করার জন্য কখনই তেমন আক্ষেপ হয় না। বা কখনও মনে হয় না, যারা ভারত কাঁপাচ্ছে, তাদের সঙ্গে কমপিট করে একটু দেখি না!
সৌমিত্র নিজের ফেলে আসা জীবনের অনেক কথাই বলেছেন আত্মজীবনীধর্মী ফিচার কফিহাউসে। সহ লেখক গৌতম ভট্টাচার্যর কলমে উঠে এসেছে অনেক না–জানা কথা। যেমন, পিঙ্ক ছবিতেও অভিনয়ের সুযোগ এসেছিল। ছবির অনেকটা অংশজুড়ে ছিল কোর্টরুমের সওয়াল–জবাব। বিচারকের চরিত্রে সৌমিত্রকেই চেয়েছিলেন প্রযোজক সুজিত সরকার। কিন্তু চিত্রনাট্য শুনে সৌমিত্রর মনে হয়েছিল, এই চরিত্রে অভিনয়ের তেমন সুযোগ নেই। তখন সেই চরিত্রের প্রস্তাব যায় ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।
(তথ্যসূত্র: কফিহাউস। অনেকের হয়ত পড়া হয়নি। তাঁদের জন্যই কিছু অজানা ঘটনা তুলে ধরা হচ্ছে বেঙ্গল টাইমসে। মিডিয়া সমাচার বিভাগে এমন অনেক অজানা ঘটনা উঠে আসবে। )