রুদ্র ভৌমিক
তাঁর কাহিনী নিয়ে একের পর এক ছবি তৈরি হয়েছে। মুম্বইয়ে নিজেও লিখেছেন একের পর এক চিত্রনাট্য। সেগুলো থেকে সেই সময়ের হিট হিন্দি ছবি তৈরি হয়েছে। কিন্তু নিজের ১৬ বছর বয়সে লেখা গল্প নিয়ে ছবি হতে পারে, কখনই ভাবেননি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
তখনও ব্যোমকেশের ভাবনা মাথাতেই আসেনি। আর ঐতিহাসিক উপন্যাস! সেগুলোও জন্ম নেয়নি। কলেজ জীবন থেকেই টুকটাক লেখালেখি। ওই ষোল বছর বয়সেই লিখেছিলেন প্রেমের প্রায়শ্চিত্ত। কিন্তু তখন বয়স অল্প। তাই সেই সময় প্রেমের গল্পটি কোথাও ছাপতে দেননি। পাছে বয়ষ্করা দেখে ফেলে!
পরে একের পর এক গল্প, উপন্যাস লেখা শুরু করলেন। সাহত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেন। বম্বেতে চিত্রনাট্যকার হিসেবেও বেশ খ্যাতি। কিন্তু ষোল বছর বয়সের ওই গল্পটা কোথাও কখনও ছাপতে দেননি। মনে হয়েছিল, ওটা নেহাতই কাঁচা হাতের লেখা। যে লোকটা ব্যোমকেশ লেখে, সেই লোকটার নামে এই লেখা মানাবে না। এভাবেই লেখাটা পড়ে রইল ড্রয়ারের মধ্যেই।
সামনে এল তাঁর মৃত্যুর পর। ১৯৭০ সালে পুনেতে থাকাকালীন হল সেরিব্রাল অ্যাটাক। আনা হল বম্বেতে। সেখানেই মৃত্যু। মৃত্যুর পর এই অপ্রকাশিত গল্পটি প্রকাশ পেল। যেটি সারাজীবন কাঁচা হাতের লেখা বলে কোথাও ছাপতে দিলেন না, সেটি প্রকাশ হতেই অন্য মোড় নিল। এগিয়ে এলেন তরুণ মজুমদার। ঠিক করলেন, এই গল্পটা নিয়েই সিনেমা বানাবেন। বললেন, এই গল্পের চিত্রসত্ব চাই। একটু একটু দাঁড় করালেন গল্পটাকে। তৈরি হল চিত্রনাট্য। গল্পের নামটা বদলে গেল। সেই ছবিই হয়ে উঠল ‘দাদার কীর্তি’।