সন্তোষের ম্যাচ দুপুর আড়াইটেয় কেন?‌

রজত সেনগুপ্ত

ক্যালেন্ডারে যতই বসন্ত হোক, রোদ্দুরের চোখরাঙানি চলছেই। এই অবস্থায় দুপুর আড়াইটায় সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে খেলতে নামছে বাংলা। আজ তাদের সামনে কর্নাটক।
প্রথম রাউন্ডে বাংলা বেশ সফল। এবার ঘরের মাঠে গ্রুপ লিগেও প্রথম তিন ম্যাচেই এসেছিল জয়। ওই তিন ম্যাচের পরই সেমিফাইনালে ওঠা চূড়ান্ত হয়ে যায়। যদিও সন্তোষের বাংলা দলকে নিয়ে ফুটবল মহলে বা মিডিয়ায় তেমন চর্চা নেই। শহরের বুকেই সন্তোষ ট্রফি হচ্ছে। অথচ, ফুটবলের শহর কলকাতা কী উদাসীন!‌

santosh trophy
বাংলাকে ম্যাচ খেলতে হবে দুপুর আড়াইটেয়!‌ এই রোদকে এড়ানো যেত না?‌ যুবভারতীর কথা না হয় ছেড়েই দিলাম। তিন প্রধানের মাঠেই এখন ফ্লাডলাইট। অন্তত সেমিফাইনাল থেকে সেই নৈশালোকে ম্যাচ করা যেত না?‌ এমনিতেই একের পর এক টুর্নামেন্ট বিদায় নিয়েছে। টিমটিম করে জ্বলছে সন্তোষ ট্রফি। তাকে ঘিরেও এমন উপেক্ষা!‌
ফেডারেশন উদাসীন, সে তো জানা কথা। কিন্তু আই এফ এ তো একটু উৎসাহ দেখাতেই পারত। আই এফ এ যদি বিকেলে বা রাতে ম্যাচের আয়োজন করত, নিশ্চয় ফেডারেশনের আপত্তি থাকত না। এখনও পর্যন্ত সন্তোষ ট্রফিতে সবথেকে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড এই বাংলার। গত বছরও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলা। এবার আয়োজক বাংলা।
যদি ন্যূনতম ব্যবস্থাই না করা যায়, ঘটা করে আয়োজনের দরকার কী ছিল?‌ বাংলার প্রাক্তনরা কথায় কথায় ফেডারেশনকে দোষারোপ করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে বোধ হয় আই এফ এ কেও দায়ী করা যায়। সব উপেক্ষা সত্ত্বেও আজ লড়বে বাংলা। হয় ফাইনালে উঠবে, নয় বিদায় নেবে। যদি চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে কোনও এক হোটেলে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। প্রাক্তনরা আসবেন। বড় বড় ভাষণ দেবেন। কিন্তু ঘরের মাঠে খেলা দেখতে কজন এসেছেন?‌ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য ছাড়া আর কেউ না। কাগজে কাগজে স্পোর্টসের পাতায় শুধু বল বিকৃতি আর শামির বউ কী নতুন কেচ্ছা টেনে আনল, তার ফিরিস্তি। সন্তোষের খবর কার্যত লুকিয়ে ছাপা হচ্ছে। কেন দুপুর আড়াইটেয় ম্যাচ হবে, তা নিয়ে কোনও প্রশ্নই উঠবে না।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *