বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: আরও একটি প্রণাম। আরও এক দিকবদল। সিপিএমের বহিস্কৃত সাংসদ ঋতব্রত ব্যানার্জির তৃণমূলে যোগদানও প্রায় পাকা। কবে, কীভাবে যোগ দেবেন, তা এখন সময়ের অপেক্ষা।
রাজ্যসভায় এখনও দু বছরের মেয়াদ বাকি ঋতব্রতর। সংসদে প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে তিনি বেশ সক্রিয়। বাংলা সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন তুলছেন। যে পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে বেশ অস্বস্তিতেই পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
একটু একটু করে তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছিলেন ঋতব্রত। কিন্তু দলনেত্রীর আশীর্বাদ না পেলে যে অনেককিছুই অধরা থেকে যায়। তাই সেন্ট্রাল হলে প্রথমে কথা ভাইপো–অভিষেকের সঙ্গে। পিসির সঙ্গে দেখার প্রাথমিক ছাড়পত্র তখনই পাওয়া গেল। তারপর সটান হাজির ভাইপোর বাংলোয়, যেখানে এসে উঠেছেন পিসি মমতা।
পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম। একঘণ্টার একান্ত বৈঠক। কী আলোচনা, কোনওপক্ষই সামনে আনেননি। বলা হল, সৌজন্যমূলক। ঋতব্রতর দাবি, তিনি একজন জননেত্রী। রাজ্যের অভিভাবক। তাঁর সঙ্গে দেখা করাটা প্রাথমিক কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।
আগেও তিনি জননেত্রী ছিলেন। আগেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আগেও অনেকবার তিনি দিল্লিতে এসেছেন। ঋতব্রতও তখন দিল্লিতেই ছিলেন। তখন কেন যে প্রাথমিক কর্তব্য পালন করেননি, কে জানে!