শাহেনশার ৩০ বছর, গল্পটা জয়ার লেখা!‌

দিনে ঘুসখোর পুলিস, রাতে অ্যাংরি ইয়ং ম্যান। দেখতে দেখতে শাহেনশার তিরিশ বছর হয়ে গেল। এই ছবির কাহিনি কিন্তু জয়া বচ্চনের লেখা। তিরিশ বছরে এমনই অনেক অজানা দিক তুলে ধরলেন শ্রীপর্ণা গাঙ্গুলি।।

দিনের বেলায় ঘুসখোর পুলিশ অফিসার। রাতের বেলায় ঠিক উল্টো ছবি। তখন সে প্রতিবাদী। সকালে যাদের কাছে টাকা নিয়েছে, রাতে তাদেরই শায়েস্তা করার জন্য রাস্তায় নেমে পড়েছে।
ঠিক ধরেছেন। অমিতাভ বচ্চনের শাহেনশা। দেখতে দেখতে তিরিশ বছর পেরিয়ে গেল। তিরিশ বছর আগে ঠিক এমনই একটি দিনে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। আর দশটা ছবির সঙ্গে এই ছবির অনেকটাই তফাত আছে।
১৯৮৪ তে হঠাৎ করে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন অমিতাভ। ছবির দুনিয়া থেকে কিছুটা দূরেই চলে গিয়েছিলেন। তাঁর শূন্য আসনে তখন সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। অমিতাভ যেন অনেকটাই পেছনের সারিতে। রাজনীতির আঙিনায় বেশিদিন ঘর করা গেল না। বোফর্সের বিতর্কে জড়িয়ে গেল অমিতাভেরও নাম। রাজনীতির প্রতি মোহভঙ্গ। লোকসভার পাট চুকিয়ে ফিরে এলেন আবার নিজের চেনা দুনিয়ায়। সে অর্থে এই ছবিটা ছিল অমিতাভের কামব্যাক ছবি।

amitabh
ছবির কাহিনী কার?‌ অবাক করে দেওয়ার মতোই তথ্য। এই কাহিনি লিখেছিলেন জয়া বচ্চন। সেই কাহিনির ওপর ভিত্তি করেই লেখা হয় চিত্রনাট্য। অর্থাৎ অমিতাভের এই কামব্যাকের নেপথ্যেও বড় ভূমিকা থেকে গেছে জয়ার। স্মরণীয় একটি সংলাপ— রিস্তে মে হাম তুমহারে বাপ লাগতে হ্যায়, নাম হ্যায় শাহেনশা। এটি প্রায় প্রবাদের আকার নিয়েছে। ছবিটি তৈরি হওয়ার কথা ছিল তার পাঁচ বছর আগেই। কিন্তু নানা কারণে সেটির শুটিং পিছিয়ে যায়। প্রথমে অমিতাভের বিপরীতে কাজ করার কথা ছিল ডিম্পল কাপাডিয়ার। কিন্তু পরে এই রোল করেন মীনাক্ষী শেষাদ্রি। শেশমেশ ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৮৮–‌র ১২ ফেব্রুয়ারি। বক্স অফিসেও বেশ সফল হয়েছিল ছবিটি। পরিসংখ্যান বলছে, ছবির বাজেট ছিল দেড় কোটি। উঠে এসেছিল ৬ কোটি।

web-banner-strip

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.