বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:
আরও এক বেনজির সিদ্ধান্ত। তিনি শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ। এদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। একসঙ্গে দুটো দায়িত্বই চালিয়ে যাচ্ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এবার আরও একটি গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হল তাঁর ঘাড়ে। তিনি এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। জল্পনা–কল্পনা নয়, সিদ্ধান্ত হয়েই গেছে।
কিন্তু আগের দুটি দায়িত্ব তিনি ছাড়বেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। সম্ভবত, একসঙ্গে তিনটি দায়িত্বই সামলাবেন।
এস এস সি নিয়ে এমনিতেই নাজেহাল সরকার। ঠিকঠাক পরীক্ষা নেওয়া থেকে শুরু করে রেজাল্ট, সব ব্যাপারেই ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ। কখন বিজ্ঞপ্তি, কখন পরীক্ষা, কখন তার রেজাল্ট, রেজাল্ট হলেও কীভাবে কাউন্সেলিং— সবকিছুই অস্বচ্চতায় মোড়া। একের পর এক মামলা ঝুলছে। এই অবস্থায় তাঁকে দেওয়া হল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব। তাও আবার আশেপাশে নয়, সুদূর উত্তরবঙ্গে।
আরও একটি তথ্য এখানে উল্লেখ না করলেই নয়। সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ডিলিট দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। সাহিত্যে অবদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট দেওয়া হোক, সেনেটের সভায় যিনি প্রস্তাব করেছিলেন, তিনি সুবীরেশ ভট্টাচার্য। যিনি সমর্থন করেছিলেন, তিনি কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর। তারপরই তিনি হয়ে যান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য। অর্থাৎ, সমর্থক হলেই সহ উপাচার্য, আর প্রস্তাবক হলেন উপাচার্য।
সত্যিই, ‘অনু্প্রেরণা’ বড় সাঙ্ঘাতিক জিনিস।