দুই উপনির্বাচনকে যাঁরা অবাধ ও শান্তুপূর্ণ বলেছেন, তাঁদের অবস্থান তখনই পরিষ্কার। ফলাফলের পর তাঁদের বিশ্লেষণের কতটুকু মূল্য আছে? যাদের দূরবীন দিয়ে দেখতে হয়, তাদের নিয়ে এত দুশ্চিন্তা কেন? লিখেছেন সৌম্য সিনহা।
বিশ্লেষক যখন প্রবঞ্চক এবং পক্ষপাতদুষ্ট হয় সে বিশ্লেষণ হাস্যকর এবং বিরক্তিকর দুটোই হয়। এই যে দু দুটি উপনির্বাচন হল। এটাকে যারা অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ তকমা দেবে তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ থেকেই যাবে। যাই হোক, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দেশের নাগরিকদের যখন নিজের ভোট নিজের দেওয়ার আর ক্ষমতা থাকে না, যখন পুলিশের উপস্থিতিতে বোমাবাজি আর বুথ দখল নিয়মের পর্যায়ে চলে যায়… সেই দেশে রাষ্টপতি, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এসবের কি আদৌও আর কোনও প্রয়োজন আছে ? আমার তো মনে হয় এত রাজনৈতিক দল, সিস্টেম কোনও কিছুরই প্রয়োজন নেই। বিরোধী হলেই তোমাকে মার খেতে হবে, সত্যি কথা বললে যখন চাকরি খোয়াতে হবে -তখন কি দরকার আছে নির্বাচন কমিশনের, কী দরকার আছে সুপ্রিম কোর্টের ? এ গুলো কি কাজে আসে ?
টিভি চ্যনেলগুলো যতই এই উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কাঁটা ছেঁড়া করুক না কেন -মানুষ দেখেছে সব কিছু। ‘দূরবীন দিয়ে দেখতে হয়’ যাদের তাদের এত ভয় কিসের! আসলে ভয়টা মানুষের প্রতি। একটা, স্রেফ একটা পরিষ্কার নির্বাচন করে দেখাক নির্বাচন কমিশন। বোঝা যাবে এই বাংলা কাদের চায়!
মানুষ তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে বিচার করে নিয়েছে। কারা মানুষের জন্য আর কারা এক শ্রেণীর মানুষের জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছে।
তাই শেষ পর্যন্ত মানুষই ইতিহাস গড়বে। মানুষের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস আর আস্থা রইল।