তিস্তা ঘোষাল
একবার কাঞ্চনকন্যায় চড়লে আর আপনার জঙ্গল সাফারি না করলেও চলবে। ডুয়ার্স সম্পর্কে এটাই প্রচলিত মতবাদ। শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত রেলপথের অনেকটা জুড়েই ঘন জঙ্গল। মহানন্দা দিয়ে শুরু। জলদাপাড়া, গরুমারা, বক্সার মতো জাতীয় অরণ্যের মাঝখান দিয়ে কু–ঝিকঝিক করতে করতে এগিয়ে যায় ট্রেন।
এবার সেই ভ্রমণ আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠতে চলেছে। ট্রেনের একটি কামরা যদি একেবারেই কাচের হয়! জানালা দিয়ে কষ্ট করে উকি মেরে দেখা নয়। আপনার কাছে সবকিছুই উন্মুক্ত। দুপাশের দৃশ্য যেমন দেখতে পারেন, তেমনি চাইলে ওপরের খোলা আকাশও দেখতে পারেন। এই পরিষেবাকে বলা হয় ভিস্তাডোম। মুম্বই–গোয়ার পথে সেই পরিষেবা আছে। আরাকু যাওয়ার পথেও এমন কোচে সফর করতে পারেন। একটি কামরায় ৪০ টি আসন। যাত্রীস্বাচ্ছন্দের নানা উপকরণ। কামরার মধ্যেই থাকবে এলসিডি। সেখানে চোখ রাখলেও জঙ্গল আপনার চোখে নতুন চেহারায় ধরা দেবে।
ডুয়ার্সে এমন পরিষেবা চালুর দাবি উঠছিল অনেকদিন ধরেই। এবার রেলকে এমনই প্রস্তাব দিল আইআরসিটিসি। পর্যটন থেকে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা, সবদিক খতিয়ে দেখেই এমন সুপারিশ করেছে আইআরসিটিসি। তাঁদের দাবি, এই ভিস্তাডোম চালু হলে বিদেশিদের কাছে ডুয়ার্সের আকর্ষণ একলাফে অনেকখানি বেড়ে যাবে। ডুয়ার্সের পর্যটনে নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে।