রাতুল দত্ত
প্রথাগত রিভিউ কেমনভাবে লিখতে হয়, জানি না। তাছাড়া আমি তেমন বোদ্ধাও নই। আমি আমার মতো করে বুঝি। আমার মতো করেই দেখার চেষ্টা করি। আমি জানি, কোনও কাগজই আমার লেখা ছাপবে না। কিন্তু বেঙ্গল টাইমস পাঠকদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়। তাই সেই মতামত তুলে ধরার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছি।
দেখতে দেখতে ২ সপ্তাহ পেরিয়ে গেল। অ্যামাজন অভিযান নিয়ে বাঙালির তেমন উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। যাওয়ার কথাও নয়। মিডিয়ায় বড় বড় বিজ্ঞাপন। তাই তারা একটু প্রচার করছে। কিন্তু আমজনতার তেমন হেলদোল নেই।
আচ্ছা, এমন ছবি লোকে কেন দেখবে বলুন তো? পুরোটাই গাঁজাখুরি। কোথায় বিভূতিভূষণ আর কোথায় কমলেশ্বর। নিজের ইচ্ছেমতো গল্প তিনি লিখতেই পারেন। খামোখা শঙ্করকে টেনে আনা কেন বাপু? অনুপ্রেরণা হিসেবে বিভূতিভূষণকে নাই বা টানলেন। সেই যে একটা চাঁদের পাহাড় বানিয়েছিলেন। এতে শিক্ষা হয়নি। বিভূতিভূষণের পিন্ডি না চটকালে যেন শান্তি হচ্ছে না। না আছে সাহিত্য মূল্য, না আছে ছবির মুন্সিয়ানা। কিছুটা সার্কাস, কিছুটা জঙ্গল বুক। কোনো সন্দেহ নেই, দেব একজন জনপ্রিয় নায়ক। এই বাংলায় তাঁর ফ্যানের অভাব নেই। তাঁদের কথা ভেবে যত খুশি পাগলু, খোকাবাবু, চ্যালেঞ্জ টু— এসব করুন। এতে ভক্তরাও শান্তি পাবেন। কিন্তু তাঁকেও বুদ্ধিজীবী হতেই হবে। তাই এই ব্যতিক্রমী ধারার ছবিতে কাজ করার ঝোঁক। অন্যদিকে কমলেশ্বরবাবু। তিনি নাকি অন্য ধরনের ছবি করতে চান। তাই যদি চান, তাহলে দেবকে নেওয়া কেন? দেবের গ্ল্যামারকেও ব্যবহার করব, আবার অন্য ধারার গল্পও শোনাব। দুটো একসঙ্গে হয় নাকি? কারা এর সম্ভাব্য দর্শক? যাঁরা দেবের সিনেমা দেখতেন, তাঁরা? নাকি যাঁরা দেবের ছবি থেকে দূরে থাকতেন, তাঁরা? সেটাই বোধ হয় গুলিয়ে ফেলেছেন। ভেবেছেন, একসঙ্গে দুটো শ্রেণির কাছে পৌঁছে যাবেন। এত সহজ নয় কত্তা। যা খুশি গাঁজাখুরি বানিয়ে দিলেই যদি সিনেমা হয়ে যেত, তাহলে আর ভাবনা ছিল না।
(ওপেন ফোরাম। মতামত লেখকের ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে বেঙ্গল টাইমসের কোনও সম্পর্ক নেই। চাইলে আপনারাও নিজেদের মতামত তুলে ধরতে পারেন। ঠিকানা: bengaltimes.in@gmail.com)