সিবিআই যদি নবান্নের কাছে শিখত!‌

স্বরূপ গোস্বামী

কে বলল, রাজ্যের কাছে শেখার কিছু নেই। আছে মশাই, আছে। সিবিআই অনায়াসেই শিখতে পারে নবান্নের কাছে।
বিজেপির মঞ্চ থেকে মুকুল রায় অভিযোগ করলেন। এতদিন কালীঘাট থেকে বা তৃণমূল ভবন থেকে পার্থ চ্যাটার্জি পাল্টা বলতেন। এবার নামিয়ে দেওয়া হল দুই আই এ এস অফিসারকে। তাঁদের দাবি, মুকুল রায় ভুল বলেছেন। বিশ্ববাংলার মালিক অভিষেক ব্যানার্জি নয়, এটা বোঝাতে কী তৎপরতা!‌

atri bhattacharjee
রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে সারাদিন এমন কত অভিযোগ ওঠে। রাজনৈতিকভাবে উত্তরও দেওয়া হয়। তাই বলে নবান্নের দুই আই এ এস–‌কে আসরে নামিয়ে দেওয়া?‌ এমন নয় যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা এসব বলেছেন। তাঁরা সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেনই এসব বলার জন্য। সাংবাদিক সম্মেলনটি তাঁরাই ডেকেছিলেন।
সে যাক গে। ভাবছি, সিবিআই যদি এমনটা করত!‌ তৃণমূলের মঞ্চ থেকে তো হামেশাই বলা হয়, সিবিআই চক্রান্ত করছে। সারদা–‌নারদায় তাঁদের হেনস্থা করছে। সিবিআইয়ের কাছে প্রমাণ নেই। জনসভা থেকে টিভি চ্যানেল, সরকারি মিটিং থেকে টুইটার— সব জায়গাতেই এই জাতীয় আক্রমণ। সিবিআই তো পাল্টা প্রেস কনফারেন্স ডাকলেই পারে। কে জেরায় কী বলেছেন, সেই ভিডিও দেখিয়ে দিলেই হয়। কী কী প্রমাণ জোগাড় হয়েছে, তাও বলা যায়। এতে ধোঁয়াশাও কিছুটা কাটবে। সিবিআই যে সবসময় শীতঘুম দিচ্ছে না। কিছু তথ্য–‌প্রমাণ যে তাঁরাও জোগাড় করতে পেরেছেন, পাবলিককে অন্তত এটুকু বোঝানোও যেত।

মুকুল রায়ের অভিযোগের জবাবে নবান্নের দুই কর্তা যদি প্রেস কনফারেন্স ডাকতে পারেন, তাহলে তৃণমূল নেতাদের অভিযোগের জবাবে সিবিআই–‌ও নিশ্চয় পারে।

সিবিআই কর্তারা ভেবে দেখতে পারেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.