কুম্বলেরা অন্যরকম, তাই নিঃশব্দেই সরে যান

সোহম সেন

‌মাত্র কয়েকদিনেই যেন মধুচন্দ্রিমা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। এটা সৌরভ গাঙ্গুলি বনাম গ্রেগ চ্যাপেলের লড়াই নয়। স্বদেশি বনাম বিদেশিরও নয়। ঠাণ্ডা লড়াই তৈরি হয়েছে বিরাট কোহলি আর অনিল কুম্বলের। কুম্বলেকে সরিয়ে বিরাট নাকি অন্য কাউকে কোচ করে আনতে চাইছেন।
কিন্তু দুজনের মধ্যে সংঘাত কেন?‌ এমন তো নয় যে বিরাট কোহলিকে বাদ দিতে চাইছেন কুম্বলে। এমনও নয় যে আলাদা গোষ্ঠী তৈরি করে কোহলিকে কোণঠাসা করতে চাইছেন। এমনও নয় যে নিজের পছন্দের খেলোয়াড়দের দলে ঢোকাতে চাইছেন।

kumble3

তাহলে, সংঘাতের আড়ালে কি অন্য কোনও কারণ থেকে গিয়েছে, যা সামনে আসছে না?‌
কুম্বলে বরাবরই শান্ত, ভদ্র, শিক্ষিত। তারকাসুলভ ইমেজ নিয়ে কখনই চলেন না। খেলোয়াড় জীবনেও বারবার দেখা গিয়েছে, নিজের ক্ষোভ–‌অভিমানকে সামনে আনতে চাননি। বিস্ফোরক মন্তব্য করে শিরোনামে আসার চেষ্টা করেননি। বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথম দলে তিনি নেই। তাঁকে বাদ দিয়ে খেলানো হয়েছিল হরভজন সিংকে। কখনও এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখেছেন?‌ যখন সরে দাঁড়িয়েছেন, তখন তিনি দলের অধিনায়ক। কজনের জীবনে এমন ঘটনা ঘটেছে?‌ সাফল্যের নিরিখে ভারতের সর্বকালের সেরা বোলার কে?‌ এই নিয়েও দ্বিমত থাকার কথা নয়। টেস্ট বা একদিনের উইকেট শিকারের নিরিখে অন্যরা তাঁর ধারেকাছেও নেই। অথচ, কতটুকু তারকা স্ট্যাটাস পেয়েছেন?‌
এমন একটা মানুষের সঙ্গে যদি কারও সংঘাত হয়, আপনি কোন পক্ষ নেবেন?‌ দুই প্রজন্মের মধ্যে চিন্তাভাবনার একটা ফারাক থাকেই। এক্ষেত্রেও সেটা হয়ে থাকতে পারে। তাই বলে সম্পর্কটা এই জায়গায় নেমে আসবে কেন?‌ এক্ষেত্রেও হয়ত কোহলির মতটাই শোনা হবে। কুম্বলেকে হয়ত ভারতীয় ক্রিকেট বৃত্ত থেকে সরেই যেতে হবে। তবু কোহলির কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হবে না। এরপরেও নিশ্চিত থাকুন, এই তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলি কুম্বলে কখনই সামনে আনবেন না। কোনও সাংবাদিক সম্মেলনেও না। এমনকী পরিণত বয়সে লেখা আত্মজীবনীতেও না।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.